TMC: প্রধানের অফিসে তালা ঝোলালেন দলেরই নেতা

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান পৌঁছনোর আগেই দলের অঞ্চল সভাপতি মানস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর অফিসে তালা মারা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২১ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূল পরিচালিত গোঘাটের কুমুড়শা পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম মুদির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলের অন্দরেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান পৌঁছনোর আগেই দলের অঞ্চল সভাপতি মানস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর অফিসে তালা মারা হল।

Advertisement

অবশ্য আধ ঘণ্টার মধ্যে তালা খুলে দিয়ে মানস বলেন, “নানা দুর্নীতি এবং দলকে অন্ধকারে রেখে প্রধানের কাজকর্মের প্রতিবাদে এটা প্রতীকী বিক্ষোভ-আন্দোলন হল। প্রধানের দুর্নীতিতে যে দলও বিরুদ্ধাচারণ করছে, সেটা স্থানীয় মানুষকে জানানো হল।”

প্রধানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

Advertisement

মানসের দাবি, ‘‘বিবাহিত, সন্তান হয়ে যাওয়া মহিলাকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। শালি জমির চরিত্র পরিবর্তন ছাড়াই গৃহ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বেআইনি ভাবে নানা ক্ষেত্রে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। সর্বোপরি, সাধারণ সভা না-ডেকে সদস্যদের অন্ধকারে রেখে প্রধান নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়াকে কেন্দ্র করেও প্রচুর অসন্তোষ আছে। এ সবের প্রতিকার চেয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’

তবে, মানসের এই কাজকে সমর্থন করেননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘সরকারি দফতরে তালা মারা গর্হিত কাজ। খতিয়ে দেখছি। পুলিশকে দেখতে বলা হবে।’’

মানসের কোনও অভিযোগই মানেননি প্রধান। এ দিন বেলা ২টো নাগাদ তিনি অফিস আসেন। প্রধান বলেন, “পঞ্চায়েত পরিষেবায় অযাচিত খবরদারি করতে না-দেওয়াতেই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন অঞ্চল সভাপতি। অফিসে তালা মারার কথা শুনে এসে দেখি, তালা খোলা। বিক্ষোভকারীরা কেউ নেই। পঞ্চায়েতের কাজে কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। সদস্যদের মধ্যে বিভেদ নেই। কন্যাশ্রী প্রকল্পে শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং শালি জমিতে বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের ভুল নিজেরাই ধরতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে শুধরে নিয়েছিলাম। সেটা নিয়েই নাটক করছেন অঞ্চল সভাপতি। বিষয়টা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন