Howrah Murder

ভাঙা কাচের গ্লাস দিয়ে বার বার গলায় আঘাত, হাওড়া পুরসভার কর্মী খুনে গ্রেফতার ‘পুরনো’ বন্ধু

শনিবার গভীর রাতে উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার কুলতলা লেনে পুরসভার সাফাইকর্মী শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় (৫৩) ওরফে মধুর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৭
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া পুরসভার সাফাইকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম সঞ্জীব কর্মকার। রবিবার গভীর রাতে তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সঞ্জীবকে হাওড়া আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

Advertisement

শনিবার গভীর রাতে উত্তর হাওড়ার সালকিয়ার কুলতলা লেনে পুরসভার সাফাইকর্মী শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় (৫৩) ওরফে মধুর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ভাঙা মদের বোতল ও ভাঙা কাচের গ্লাস। ভাঙা গ্লাসে রক্তের চিহ্ন দেখে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, সেটি দিয়ে বার বার গলায় আঘাত করে শঙ্খকে খুন করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শনিবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিলেন শঙ্খ। ওই বন্ধুই তাঁকে খুন করে পালিয়েছেন। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। তার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হলেই শঙ্খের সেই বন্ধু সঞ্জীব।

পরিবার সূত্রে খবর, শঙ্খ জেলাশাসকের বাংলোয় কর্মরত ছিলেন। তিনি বিয়ে করেননি। মায়ের সঙ্গে সালকিয়ার ওই বাড়িতে থাকতেন। মৃতের পরিজনেরা জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতার আহিরীটোলা থেকে সঞ্জীব তাঁদের বাড়িতে আসেন। প্রথমে বাড়ির একতলার ঘরে বসে দুই বন্ধু গল্পগুজব করেন। দুপুরে ওই যুবক শঙ্খদের বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া করেন। এর পরে আবার একতলার ঘরে বসে নেশা করতে শুরু করেন তাঁরা। শঙ্খের এক দাদা প্রভাসকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই বন্ধুকে ঘরে বসে গল্পগুজব করতে ও মদ্যপান করতে দেখেছিলাম। রাত ১০টা নাগাদ দেখি, শঙ্খের ঘরে আলো জ্বলছে, পাখাও চলছে। সন্দেহ হওয়ায় দরজা ঠেলে ঢুকে দেখি, মেঝেতে পড়ে আছে ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ। গলায় আঘাতের দাগ।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মদ্যপান করার সময় বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই বন্ধু। তা চরমে উঠলে ভাঙা গ্লাস দিয়ে আঘাত করে শঙ্খকে খুন করা হয়। কিন্তু কী নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে জেরা করলে গন্ডগোলের আসল কারণ স্পষ্ট হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন