Protest

‘অশ্লীল ভিডিয়ো’ ভাইরাল হওয়ার এক মাস পর পঞ্চায়েত অফিসে মহিলা প্রধান! উত্তপ্ত বড়গাছিয়া

স্থানীয় সূত্রে খবর, এক মাস আগে হাওড়ার ওই পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানের একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো সমাজমাধ‍্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিয়ে জোর হইচই শুরু হয় এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের অন্দরে কটাক্ষ করে বিরোধীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৫ ০১:১০
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মাসখানেক আগে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানের একটি ‘আপত্তিকর ভিডিয়ো’ সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পাশাপাশি, ভিডিয়োর ছবি কেটে পোস্টার তৈরি করে এলাকায় লাগানো হয় বলেও অভিযোগ। পঞ্চায়েত অফিসেও প্রধানের ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে নানা ধরনের কথা ওঠে। যার জেরে মহিলা প্রধান প্রায় এক মাস পঞ্চায়েত অফিসে আসেননি।। মঙ্গলবার দুপুরে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশের সঙ্গে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে এলে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনদের পুলিশের সামনেই গ্রামবাসীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই মারধরের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ফের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা প্রধান।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, এক মাস আগে হাওড়ার ওই পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধানের একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো সমাজমাধ‍্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিয়ে জোর হইচই শুরু হয় এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েতের অন্দরে কটাক্ষ করে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে এক মাস ধরে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যাননি প্রধান। তিনি কোথায়, তা দলের পঞ্চায়েত সদস্যেরা কেউই বলতে পারছিলেন না। এর ফলে ওই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম কার্যত বন্ধ থাকে। প্রতিদিনই গ্রামবাসীরা রূপশ্রী প্রকল্প, জল্মের শংসাপত্র অথবা বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র-সহ নানা কাজে পঞ্চায়েত অফিসে এলেও তাঁদের খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের পারদ চড়তে থাকে।

এক মাস পর মঙ্গলবার দুপুরে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে আসেন প্রধান। তাঁর আসার খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিসে ছুটে আসেন। গ্রামবাসীরা তাঁর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। মহিলা প্রধানের দাবি, তাঁকে পুলিশের সামনে চুলের মুঠি ধরে কিল, চড় ও ঘুসি মারা হয়। মারধর করা হয় তাঁর সঙ্গে থাকা সদস্যদেরও। আর এই মারার ছবি ফের ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। প্রধানের অভিযোগ, তাঁর দলের কিছু নেতার নির্দেশে ভাইরাল করে দেওয়া হয় ভিডিয়ো। তাঁরা ওই প্রধানকে চাপ দিয়ে নানা ধরনের বেআইনি কাজ করাতে চেয়েছিলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রধানের পদ থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে।

Advertisement

তবে বড়গাছিয়া অঞ্চল তৃণমূল প্রধান মহম্মদ জাফর মোল্লা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “যে ধরনের ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। তাঁরাই তাঁকে মারধর করে। তাঁরা চাইছেন উনি পদত্যাগ করুন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement