COVID-19

করোনা রোধে পুলিশের ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন

নাম-কা-ওয়াস্তে পুলিশের প্রচার চলছে বাজার-হাটে। মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। বুধবার পুরশুড়া, গোঘাট, খানাকুল এবং আরামবাগ থানা থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে মাইকে করে মাস্ক পরার জন্য প্রচার করা হয়।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২১ ০৮:২৫
Share:

করোনা ঠেকাতে পুরশুড়া থানার উদ্যোগে পথচারীদের সচেতন করার পাশাপাশি মাস্কও বিলি করা হল। —নিজস্ব চিত্র প্রসেনজিৎ সাহা

কোথায় পুলিশের সেই ‘সক্রিয়তা’?

Advertisement

গতবার করোনা সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরামবাগ মহকুমায় সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা ছিল পুলিশের। মাস্ক না-পরলে কান-ধরে ওঠবস, থানায় তুলে নিয়ে আটকে রাখা, এমনিক লাঠিপেটা করতেও দেখা গিয়েছে পুলিশকে। কিন্তু এ বার!

নাম-কা-ওয়াস্তে পুলিশের প্রচার চলছে বাজার-হাটে। মাস্ক বিলি করা হচ্ছে। বুধবার পুরশুড়া, গোঘাট, খানাকুল এবং আরামবাগ থানা থেকে বিভিন্ন হাট-বাজারে মাইকে করে মাস্ক পরা এবং দূরত্ব-বিধি মানার জন্য প্রচার করা হয়। কিন্তু এতে সচেতনতা কতটা ফিরবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মহকুমার অনেক বাসিন্দাই। কারণ, এখনও পথেঘাটে মাস্কহীন মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহকুমায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ২০-২৫ জন।

Advertisement

কেন সচেতনতা প্রচারে পুলিশের এই ‘ঢিলেমি’?

জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সরকারি স্তরে এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও নির্দেশিকা আসছে না। হয়তো এখনও নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকায় সচিব স্তরের মধ্যে বিভ্রান্তি কাজ করছে। এমনিতে পুলিশকে সরকারমুখী প্রচার করতে হয়। এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে প্রচার হবে নাকি পুলিশ স্বাধীন ভাবে প্রচার করবে, সেই বিভ্রান্তি রয়েছে।

শুধু পুলিশই নয়, মহকুমা প্রশাসন এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও এখনও রাস্তায় নামেননি। গতবার বিভিন্ন ব্লকের বিডিও এবং মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা সশরীরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন। এবার এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায়নি।

মহকুমা প্রশাসন অবশ্য দাবি করেছে, প্রচার শুরু হয়েছে। আরও জোরকদমে প্রচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে সবাই রাস্তায় নামবেন। ইতিমধ্যে সমস্ত পঞ্চায়েতে ব্যাপক প্রচার এবংল স্থানীয় হাট-বাজার সহ যে সব এলাকায় জনসমাগম হয়, সেখানে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

গতবার দমকল দফতরের প্রচার বিশেষ সাড়া ফেলেছিল গ্রামাঞ্চলে। সাইরেন বাজিয়ে, লালবাতি জ্বালিয়ে দমকলের গাড়ি ছুটেছে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। আগুন নাকি অন্য কোনও দুর্ঘটনা— গ্রামবাসীরা যখন জল্পনা শুরু করেছেন, তখনই ওই দমকলের গাড়ি থেকে মাইকে করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচার চলছে। এ বার দমকল দফতরের আরামবাগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, সাইরেন বাজিয়ে করোনা সতর্কতা এবং সচেতনতা নিয়ে এখনও উপরমহলের নির্দেশ আসেনি। সবে বুধবার মহকুমা প্রশাসন থেকে ভিকদাসে যে ‘সেফ হাউস’ করা হচ্ছে, সেখানে স্যানিটাইজ় করার কথা বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন