Mollestation

Toto driver: মদের টাকা না-দেওয়ায় টোটোতে ছাত্রীকে নিগ্রহ

মদের টাকা দিতে রাজি না-হওয়ায় টোটোর মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীকে নিগ্রহ এবং তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলি স্টেশনের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ০৮:০২
Share:

প্রতীকী ছবি

মদের টাকা দিতে রাজি না-হওয়ায় টোটোর মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীকে নিগ্রহ এবং তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে সোমবার বিকেলে উত্তেজনা ছড়াল হুগলি স্টেশনের কাছে। টোটো-আরোহী এক মদ্যপ যুবককে ধরে ফেলে জনতা মারধর শুরু করে। সেই সুযোগে অভিযুক্ত আর এক মদ্যপ যুবক এবং টোটো-চালক পালায়। পুলিশ গিয়ে প্রহৃত যুবককে উদ্ধার করে আটক করে।

Advertisement

চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত অন্যজন এবং টোটো-চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীটি হুগলির কানাগড় এলাকার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। এ দিন বিকেলে ছুটির পর হুগলি স্টেশনে যাওয়ার জন্য কলেজের সামনেই টোটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দুই যুবক যাত্রীকে নিয়ে একটি টোটো এসে দাঁড়াতে ছাত্রী উঠে পড়েন।

Advertisement

ছাত্রীটির অভিযোগ, দুই যুবকই মদ্যপ ছিল। কিছুটা যাওয়ার পরেই তারা মদের টাকার জন্য ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করে। তিনি নামার চেষ্টা করেও পারেননি। তাঁর হাত ধরে ফেলে ওই যুবকেরা। কোনও মতে তিনি ফোনে কলেজের এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানান।

কিছুক্ষণের মধ্যে ওই সহপাঠী এবং আর এক বন্ধু মোটরবাইকে ধাওয়া করে একটি বিনোদন পার্কের কাছে টোটোর পথ রোধ করে দাঁড়ান। ছাত্রীটি জানান, টোটোর পথ আটকানোয় এক মদ্যপ যুবক টোটো থেকে নেমে তাঁর বন্ধুদের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। এক বন্ধুর মাথা লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হলেও হেলমেট থাকায় তিনি জখম হননি।

চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়ে যান। ধরা পড়া এক যুবককে মারধরের কথা পুলিশ শুনে সেখানে হাজির হয়। জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে আসেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরাই থানায় বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান।

ওই ছাত্রী বলেন, ‘‘ট্রেন ধরার জন্য টোটোতে উঠেছিলাম। মদের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এমন কাণ্ড হবে, কে জানত! টোটো-চালকও ওদের সহযোগিতা করছিল।’’ কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিজিৎ কর্মকার বলেন, ‘‘কলেজের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিনই ট্রেন ধরতে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এমনটা কোনও দিন ঘটেনি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বড় ধরনের ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।’’ কলেজে যাতায়াতের পথে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন ছাত্রীর বাবা-মা। পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন