Hooghly Murder case

ঘরে ঢুকে দিদি ও তাঁর সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন! হুগলির হত্যাকাণ্ডে বোনের প্রেমিক ধৃত, জেরায় চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন যুবক

বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণ করেছিলেন দিদি। না শোনায় তাঁকে প্রকাশ্যে চড়ও মেরেছিলেন। সেই রাগে প্রেমিকার দিদি এবং তাঁর সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন করেছেন যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ২০:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণ করেছিলেন দিদি। না শোনায় তাঁকে প্রকাশ্যে চড়ও মেরেছিলেন। সেই রাগে প্রেমিকার দিদি এবং তাঁর সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন করেছেন যুবক। হুগলির বৈদ্যবাটিতে যুগল হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে মৃতার বোনের প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকারও করেছেন ধৃত।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অর্জুন পাসওয়ান। অর্জুনের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর জামাইবাবু নাসিরুদ্দিন শেখও। বৃহস্পতিবার ভোরে বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারাম বাগান এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অপর্ণা মাঝি (৩২) এবং মণীশ ভাদুড়ি (৩৫)। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে অপর্ণার মা-বোনকে জিজ্ঞাসা করেই অর্জুনের সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, অর্জুন এবং তাঁর জামাইবাবু গোটা পরিবারকেই হুমকি দিতেন। এর পরেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপর্ণার ছোটো বোন রিম্পার সঙ্গে একটি পানশালায় আলাপ হয়েছিল হাওড়ার চামরাইলের বাসিন্দা গাড়িচালক অর্জুনের। ধীরে ধীরে তাঁদের প্রেম হয়। রিম্পাও স্বামীকে ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকা শুরু করেছিলেন। অপর্ণাও পরে দু’জনকে তেলেঙ্গনায় কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সেখানে কিছু দিন থাকার পর তাঁরা আবার এ রাজ্যে ফিরে আসেন। তার পরেই রিম্পা এক দিন তাঁর দিদিকে জানান, অর্জুনের সঙ্গে তিনি আর থাকতে চান না। অন্য আর এক জনকে তাঁর পছন্দ হয়েছে। এর পরেই দিদি অর্জুনকে বোনের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করেন। কিন্তু অর্জুন সম্পর্ক ভাঙতে চাননি। অভিযোগ, অপর্ণা-রিম্পাদের টানা হুমকিও দিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে অর্জুনের সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর জামাইবাবু নাসিরুদ্দিন।

Advertisement

তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, ঘটনার তিন দিন আগে অপর্ণা প্রকাশ্যে অর্জুনকে চড়-থাপ্পড়ও মেরেছিলেন। তাঁরই বদলা নিতে খুনের পরিকল্পনা করেছেন অর্জুন। ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার শিয়ালদহ থেকে ছুরি কিনে বৈদ্যবাটিতে পৌঁছোন অর্জুন। রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় ঘাপটি মেরে বসেছিলেন। এর পর ভোরে বাড়িতে ঢুকে অপর্ণা এবং মণীশকে খুন করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement