Hooghly

মাঝপথে উঠে বসল ‘লাশ’! খুন করে বাবার দেহ গায়েব করতে গিয়ে ভ্যান ফেলে দৌড় দুই ছেলের

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মদন ঘোষ। ৬৮ বছরের বৃদ্ধের দুই ছেলে মন্টু এবং সন্টু ঘোষ বাবাকে খুন করে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

ইট দিয়ে থেঁতলে বাবাকে খুনের পর লাশ গায়েবের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দুই পুত্রের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়রা দেখে ফেলায় দেহ ফেলে চম্পট দিলেন দুই ভাই। শনিবার এই ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য হুগলির বলাগড়ের বেহুলা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মদন ঘোষ। ৬৮ বছরের বৃদ্ধের দুই ছেলে মন্টু এবং সন্টু ঘোষ বাবাকে খুন করে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত দুই ছেলের। এমনিতে বৃদ্ধের জমিজায়গা যা ছিল, তার অর্ধেক দুই ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া চলত। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘দুই ছেলেরই দোতলা বাড়ি। তবে বাবার ঘরের চাল দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। ছাউনির জন্য ছেলেকে টিন কিনে দিতে বলেছিলেন বৃদ্ধ। তাই নিয়ে আজ (শনিবার) সকাল থেকে ঝগড়া শুরু হয়ে যায় ওই বাড়িতে।’’ স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ছেলেদের উপর রাগারাগি করে গালমন্দ করছিলেন বৃদ্ধ। তখনই এক ছেলে বাবার মাথায় ইটের ঘা বসিয়ে দেন। বৃদ্ধ অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান মাটিতে। মারা গিয়েছেন ভেবে বাবাকে ভ্যানরিকশায় চাপিয়ে গঙ্গার ঘাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ছেলে। তার মধ্যেই জ্ঞান ফেরে বৃদ্ধের। তখনই মাঝরাস্তায় ভ্যান ফেলে দুই ছেলে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ।

স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বৃদ্ধকে বলাগড় ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই প্রাণ হারান তিনি। পরে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল? মৃতের ছোটো বৌমা রূপা ঘোষ বলেন, ‘‘আমি রান্না করছিলাম। টিন নিয়ে বাবার সঙ্গে স্বামী আর ভাসুরের অশান্তি চলছিল। তার পর কী হল জানি না। ভ্যানে বাবাকে চাপিয়ে নিয়ে বলল, ‘হাসপাতালে যাচ্ছি’। আর কিছু জানি না।’’ পুলিশ জানিয়েছে বৃদ্ধের দুই ছেলের খোঁজ চল‌ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন