Bike Theft

Murder: বাইক চুরির তদন্তে নেমে নাবালক খুনের কিনারা, সন্দেহের বশে খুন, দাবি পুলিশের

গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সাঁকরাইলের কামদেবপুর এলাকার নাবালক শেখ হাসান (১৭) রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:৩৫
Share:

নিজস্ব চিত্র।

সাঁকরাইলে বাইক চুরি-চক্রের পর্দা ফাঁস করতে গিয়ে এক নাবালক খুনের কিনারা করল পুলিশ। ওই ঘটনায় ধৃত দু’জনকে নিয়ে ইটভাটায় যায় পুলিশ। সেখান থেকেই নিখোঁজ নাবালকের দেহ মাটি খুড়ে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে সাঁকরাইলের কামদেবপুর এলাকার নাবালক শেখ হাসান (১৭) রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওই ঘটনায় তার পরিবারের লোকজন মানিকপুর তদন্তকেন্দ্রে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গত কয়েক মাসে হাসানের পরিবার বার বার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। এ দিকে এলাকায় বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে শেখ নিয়ামুল এবং শেখ মুন্না নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, এঁদের সঙ্গে হাসানের পরিচয় ছিল।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ওই দুই যুবক জেরায় স্বীকার করে, হাসানকে তারা খুন করে সারেঙ্গায় এক ইটভাটায় পুঁতে রেখেছে। তার পরই শুক্রবার বিকেলে ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে ইটভাটায় পৌঁছয় পুলিশ। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় মৃতের দেহ। এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ‘‘সন্দেহের বশেই হাসানকে নির্জন ইটভাটায় মদ খাইয়ে খুন করে দুই অভিযুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

মৃতের বাবা আনোয়ার আলি শেখ বলেন, ‘‘বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশাই কাল হল। আমার ছেলে বাইক চুরির ব্যাপারে কিছুই জানত না।’’ মৃতের দাদা শেখ শামসের বলেন, ‘‘ভাই দর্জির কাজ করত। একই এলাকায় থাকার জন্য শেখ নিয়ামুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর এক দিন ওদের সন্দেহ হয়, হাসান পুলিশকে তাদের ব্যাপারে খবর দিচ্ছে। তাই তাকে খুন করা হয়। ভাই নির্দোষ ছিল।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন