Child Marriage

সাড়ে পনেরোয় বিয়ে, বাড়ি পাঠাল প্রশাসন

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈটির চিকরণ্ড এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর বয়স সাড়ে ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা ছোটখাট কাজ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২০ ০৪:৫০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

স্কুলের বই পড়া ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে সংসারের পাঠে মন দিয়েছিল কিশোরী! খবর পেয়ে বাধ সাধল প্রশাসন। বালিকা-বধূকে তারা ফিরিয়ে দিয়েছে বাপের বাড়িতে। হুগলির চণ্ডীতলা-২ ব্লকের নৈটি পঞ্চায়েতের ঘটনা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈটির চিকরণ্ড এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর বয়স সাড়ে ১৫ বছর। সে নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা ছোটখাট কাজ করেন। মাসখানেক আগে লকডাউনের মধ্যে পড়াশোনা শিকেয় তুলে মেয়েটি ওই এলাকারই এক যুবককে বিয়ে করে। ছেলেটি কলেজ পড়ুয়া। তাঁদের পরিবারের অবস্থা স্বচ্ছল। ওই নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার বিপ্লবকুমার বিশ্বাস এবং চণ্ডীতলা থানার পুলিশ আধিকারিক তাদের বাড়িতে যান। পরিবারের তরফে প্রথমে বলা হয়, মেয়ে বনগাঁয় আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছে। পরে অবশ্য তাঁরা বিয়ের কথা স্বীকার করেন।

এর পরে প্রশাসনের আধিকারিকরা মেয়েটির শ্বশুরবাড়িতে যান। মেয়েটি সেখানেই ছিল। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে বলে সে অকপটে জানায়। আঠেরো বছরের আগে মেয়েরা শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বিয়ের উপযুক্ত হয়ে ওঠে না বলে প্রশাসনের তরফে তাঁকে বোঝানো হয়। এর পরেই তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাপের বাড়িতে পাঠানো হয়। বাপের বাড়ির লোকজন প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে জানান, কোনও পরিস্থিতিতেই সাবালিকা হওয়ার আগে মেয়েকে সংসার করতে পাঠানো হবে না।

Advertisement

প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা জেনেছেন যে, এই বয়সে বিয়ে করা যে অনুচিত সেই ব্যাপারে আশপাশের অনেকেই মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে শোনেনি। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েটি যাতে ভুল পদক্ষেপ না করে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ায়, সেই জন্য তাঁকে কাউন্সেলিং করানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন