সাগর হেমব্রম
বড়দিনের সন্ধ্যায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই যুবক। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার চন্দননগর স্টেশন লাগোয়া এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সাগর হেমব্রম (২৪) চুঁচুড়ার সিংহীবাগানের বাসিন্দা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ চন্দননগর স্টেশনের কাছে ডাউন ব্যান্ডেল লোকালের ধাক্কায় জখম হন তিনি। ওই ট্রেনের চালক স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েছেন, বেপরোয়া ভাবে রেল লাইন পেরনোর সময়ই ট্রেনে ধাক্কা খান ওই যুবক।
মৃতের পরিবারের অবশ্য অভিযোগ, ওই সন্ধ্যায় চন্দননগর এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী চড়াও হয়েছিল সাগর ও তাঁর বন্ধুদের উপর। তাদের হাত থেকেই পালানোর চেষ্টা করছিলেন সাগর। স্টেশনের আগে অন্ধকার একটি এলাকা দিয়ে লাইনে উঠে প্লাটফর্মে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই ডাউন ট্রেন ঢুকে পড়ে। বুধবার সন্ধ্যায় ভদ্রেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাগরের দাদা।
অকুস্থল: এখানেই মেলে সাগরের দেহ। নিজস্ব চিত্র
সাগরের বন্ধুদের দাবি, তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চন্দননগরের কেএমডিএ পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার পর পাঁচ জন বড় রাস্তা না ধরে পার্কের পাশের একটি কাঁচা রাস্তা দিয়ে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। দিনের বেলা অনেকেই ওই পথ ব্যবহার করেন। কিন্তু সন্ধ্যার পর তেমন লোকজন থাকে না। ওই সন্ধ্যায় নির্জন রাস্তায় কয়েকজন তাস খেলছিল বলে দাবি সাগরের বন্ধু মানস দাস, অজয় পালের। অজয় বলেন, ‘‘আমাদের দেখেই ওরা গালিগালাজ শুরু করে। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাদের দিকে ছুটে আসে। হঠাৎই আমরা চুরি করেছি অপবাদ দিয়ে আমাদের মোবাইল, টাকার ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা ছুটতে শুরু করি।’’
অভিযোগ, এ ভাবে ছুটতে গিয়েই রেল লাইনে উঠে পড়েছিলেন সাগর। তখনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দিন সাগরের দাদা শ্যামল বলেন, ‘‘ওই দুষ্কৃতীদের জন্যই মৃত্যু হল আমার ভাইয়ের। অন্য যে কোনও মানুষের এমন হতে পারে। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’’ চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে পুরো বিষয়টি।