প্রাক্তন পুলিশের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫ লক্ষ টাকা

একই নম্বরের ভুয়ো চেকের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ব্যান্ডেলের এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীর পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৮ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

একই নম্বরের ভুয়ো চেকের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ব্যান্ডেলের এক প্রাক্তন পুলিশকর্মীর পাঁচ লক্ষেরও বেশি টাকা!

Advertisement

গত মাসে দু’দফায় যে ওই টাকা গায়েব হয়েছে, তা তখন জানতে পারেননি সাহাগঞ্জের ঝাঁপপুকুর এলাকার বাসিন্দা গোপালচন্দ্র দাস নামে ওই প্রাক্তন পুলিশকর্মী। ব্যান্ডেলের কেওটা-লাটবাগান এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ছেলের সঙ্গে তাঁর যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বুধবার ব্যাঙ্কে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে মাত্র ৫২৮৬ টাকা! পাশবই ‘আপডেট’ করতে গিয়ে জানতে পারেন, বাকি টাকা ওই ব্যাঙ্কের বেহালার বড়িশা শাখা থেকে জনৈক আর চৌধুরী দু’দফায় তুলে নিয়েছে।

চিকিৎসার খরচের জন্য ১০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে গোপালবাবু তাঁর টাকা গায়েবের কথা জানতে পারেন। হতাশ গোপালবাবু বাড়ি ফিরে সব কথা জানান। পড়শিরাও ঘটনার কথা জানেন। সকলে ফের ব্যাঙ্কে আসেন। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়, বড়িশা শাখা থেকে জনৈক আর চৌধুরী গোপালবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৩ জুলাই একটি চেকের মাধ্যমে প্রথমে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা তুলেছেন। তার তিন দিন পরে, ১৭ জুলাই সেই আর চৌধুরীই দ্বিতীয় চেকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা তুলেছেন। কিন্তু চেকে কার সই রয়েছে, তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গোপালবাবুদের জানাতে পারেননি। গোপালবাবুর দাবি, যে দু’টি চেক দিয়ে টাকা তোলা হয়েছে, সেই একই নম্বরের চেক তাঁর কাছেই রয়েছে। সেই চেক-বই এখনও তিনি ব্যবহারই করেননি।

Advertisement

২০০৪ সালে রাজ্য পুলিশ থেকে অবসর নেওয়া গোপালবাবুর প্রশ্ন, ‘‘চেক আমার কাছে। অথচ, টাকা উঠে গেল! অবসরের পরে ভবিষ্যতের জন্য ওই টাকা জমিয়েছিলাম। কোন ভরসায় ব্যাঙ্কে টাকা রাখব?’’

এ ব্যাপারে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন গোপালবাবু। প্রতারণারও অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই ব্যাঙ্কের কেওটা-লাটবাগান শাখার এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রতারিত গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে সব ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যত শীঘ্র সম্ভব টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন