দিলীপকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি সভাপতিকে বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আগুন ধরানো তো দূর। হিম্মত থাকে তো তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেখুন।’’

Advertisement

নুরুল আবসার

আমতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০২:০৬
Share:

সংবর্ধনা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মালা পরাচ্ছেন দলের কর্মীরা। আমতায়। ছবি: সুব্রত জানা

তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগানোর হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার আমতার বেতাইয়ের জয়ন্তী মাঠে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ফিরিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এ দিন ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি সভাপতিকে বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আগুন ধরানো তো দূর। হিম্মত থাকে তো তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেখুন।’’

এ দিন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করার ডাক দেন অভিযেক। সিপিএম আর বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘এখানে যাঁরা দিনের বেলায় সিপিএমের সঙ্গে ঘুরছেন, রাতে আবার তাঁরাই বিজেপি করছেন। সিপিএম, বিজেপি আর কংগ্রেস মমতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে কুৎসার আশ্রয় নিয়েছে।’’

Advertisement

অভিষেকের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি রক্ষা করলেও বিজেপি তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন সিঙ্গুরে চাষিদের জমি ফেরানো দেওয়া হবে। তিনি দিয়েছেন। বিজেপি বলেছিল কালো টাকা ফেরানো হবে। একটি পয়সাও আসেনি।’’

গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন পাহাড়ে যত পারো উন্নয়নের দাবি কর। কিন্তু পৃথক রাজ্যের দাবি মানা হবে না। এখন সিপিএম এবং বিজেপি বলুক গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অবস্থান কোথায়?’’

দলের পুরনো এবং প্রবীণ কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়ার নির্দেশ দেন তৃণমূল যুবার সভাপতি। তিনি বল‌েন, ‘‘অনেক জায়গায় প্রবীণ কর্মীরা বলেন, দলের সঙ্কটের সময়ে আমরা ছিলাম। মনে রাখতে হবে এই কর্মীদেরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সম্পদ বলে মনে করেন। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ কেটে গেলে ব্লক পর্যায়ে কর্মী সম্মেলন করে দলের প্রবীণ এবং পুরনো কর্মীদের সংবর্ধনা দিতে হবে।’’

এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন নারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়া দুই সাংসদ উলুবেড়িয়ার সুলতান আহমেদ এবং হাওড়ার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সুলতান বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদ করছে তৃণমূল। তাই আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। তবে এই লড়াই আমরা জিতবই।’’ একইভাবে ভাষণ দিতে উঠে প্রসূন বলেন, ‘‘সিবিআই কী বলল, ইডি কী বলল সে সবে কিছু মনে করি না।’’

সভা শেষ করে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় এবং উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজাকে নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার হাঁটেন অভিষেক। কর্মীদের সঙ্গে করমর্দনও করেন। তাঁকে অনুসরণ করতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে
যায় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন