চতুর্দশীর আইবুড়ো ভাত রুখল প্রশাসন

প্রশাসনের আধিকারিকরা বাড়িতে পৌঁছে দেখলেন, চতুর্দশী মামাবাড়িতে গিয়েছে ‘আইবুড়ো ভাত’ খেতে। হুগলির দাদপুরের নবম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েটির বিয়ে অবশ্য ভেস্তে দিতে পেরেছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

প্রশাসনের আধিকারিকরা বাড়িতে পৌঁছে দেখলেন, চতুর্দশী মামাবাড়িতে গিয়েছে ‘আইবুড়ো ভাত’ খেতে। হুগলির দাদপুরের নবম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েটির বিয়ে অবশ্য ভেস্তে দিতে পেরেছে প্রশাসন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, মেয়েটির বাবা ডাব বিক্রি করেন। আগামী ২৯ তারিখে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। বুধবার সূত্র মারফত সেই খবর পৌঁছয় চাইল্ড লাইনে। দুপুরে পোলবা-দাদপুর বিডিও দফতরের আধিকারিক, পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের লোকজন মেয়েটির বাড়িতে যান। আঠারো বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে আইনসম্মত নয়, সে ব্যাপারে মেয়েটির অভিভাবকদের বোঝানো হয়। এর পরেই তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, মেয়ে সাবালিকা না হলে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আর করা হবে না। এই মর্মে মুচলেকাও দেন মেয়েটির বাবা।

আবার মঙ্গলবার জেলার ডানকুনির মিরপুরের দুই নাবালিকার বিয়ে আটকেছে প্রশাসনের মধ্যস্থতায়। মেয়ে দু’টির বিয়ের তোড়জোড় চলছে বলে ওই দিন চাইল্ড লাইনে খবর আসে। এর পরেই শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া বিডিও অফিসের প্রতিনিধি এবং পুলিশ ও চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা মেয়ে দু’টির বাড়িতে গিয়ে হাজির হন।

Advertisement

তবে ওই কিশোরীদের পরিজনদের অভিযোগ ছিল, একটি মেয়ের বয়স পনেরো বছর। সে আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। অন্য জনের বয়স চোদ্দো বছর। নবম শ্রেণিতে উঠে সে পড়া ছেড়ে দিয়েছে। প্রশাসন কেন নাক গলাবে, এই প্রশ্ন তুলে মেয়েদু’টির পরিজনেরা বিয়ে বন্ধ করতে প্রথমে রাজি হননি।

শেষে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নাবালিকার বিয়ে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে, তাও ব্যাখ্যা করেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। এর পরেই মেয়েদু’টির বাড়ির লোক প্রতিশ্রুতি দেন, আঠারো বছর না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে না।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এর পরেও মেয়ের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা নজর রাখা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement