ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার নম্বর যোগ

সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয়

হুগলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে শ্রমিকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:০৬
Share:

আরামবাগ: হুগলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে শ্রমিকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। জেলার সমস্ত ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১৫ মার্চের মধ্যে ১০০ শতাংশ শ্রমিকেরই আধার কার্ড নিশ্চিত করে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তা সংযুক্তি করতে হবে।

Advertisement

এই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্লক এবং পঞ্চায়েত আধিকারিকরা। প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার কমলেশ মণ্ডল বলেন, “সব পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ শিবির করে এবং বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাজটি করতে বলা হয়েছে। জেলায় মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার। এঁদের মধ্যে ৬ শতাংশর আধার কার্ড হতে বাকি আছে। তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বাকি আছে ৩০ শতাংশ।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের (১০০ দিন কাজ) শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে আধার নম্বর যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করা হয় ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর। সেই সময় হুগলিতে জোরকদমে কাজও শুরু হলেও ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেয় জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ছাড়া দেশের কোনও প্রকল্পেই আধার কার্ড নিয়ে বাধ্যবাধকতা থাকছে না। ফলে ভাটা পড়ে কর্মসূচিতে। গত ৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গেজেট-বিজ্ঞপ্তি জারি করে শ্রমিকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করে। তাতে নির্ধারিত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ৩১ মার্চ।

Advertisement

ওই সময়ের মধ্যে শ্রমিকের আধার নম্বর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্তি না হলে এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে তিনি আর মজুরি পাবেন না।

হুগলিতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মোট সক্রিয় শ্রমিকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭২০ জনের আধার কার্ড হয়েছে। বাকি আছে ৫৩ হাজার ২৮০ জনের। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ বাকি আছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪০০ জনের।

ব্লকগুলিতে সেই কাজ শুরু হয়ে গেলেও বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের আশঙ্কা, জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েত পিছু গড়ে ১২-১৩ টি করে গ্রাম রয়েছে।

প্রতিটি গ্রামে আবার কয়েক হাজার করে পরিবার। গ্রামে গেলেই যে সেই সব পরিবারের শ্রমিকদের পাওয়া যাচ্ছে তা নয়। তাঁদের সব আধার নম্বর সংগ্রহ করে ডেটাবেস তৈরি করা এবং যাঁদের আধার কার্ডই নেই তাঁদের নতুন আধার কার্ড করানোর বিষয়টি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাবে তো!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন