ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু

দুর্গাপুজো হয়ে গিয়েছে। ভোরের বাতাসে শীতের আমেজ। তবুও শ্রীরামপুর মহকুমার পিছু ছাড়ছে না ডেঙ্গি। গত কয়েক মাসে ডেঙ্গিতে শ্রীরামপুর শহরের চার জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দাও একই রোগে মারা যান। এ বার ডেঙ্গিতে নিখিল সিংহ (১৭) নামে রিষড়ার এক তরুণের মৃত্যু হল। তার বাড়ি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাঁধী সড়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০২:২১
Share:

মৃত নিখিল সিংহ।

দুর্গাপুজো হয়ে গিয়েছে। ভোরের বাতাসে শীতের আমেজ। তবুও শ্রীরামপুর মহকুমার পিছু ছাড়ছে না ডেঙ্গি।

Advertisement

গত কয়েক মাসে ডেঙ্গিতে শ্রীরামপুর শহরের চার জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দাও একই রোগে মারা যান। এ বার ডেঙ্গিতে নিখিল সিংহ (১৭) নামে রিষড়ার এক তরুণের মৃত্যু হল। তার বাড়ি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাঁধী সড়কে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে নিখিলের জ্বর হয়। পরীক্ষায় শরীরে ডেঙ্গির ভাইরাস ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার তাকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। জ্বর তো ছিলই। বমিও হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকেরা তাকে রিষড়ার বাঙ্গুর পার্কের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। ছেলেটির অবস্থা দেখে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে অন্যত্র ভাল পরিকাঠামোযুক্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এর পরেই নিখিলকেকে উত্তরপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথেই ছেলেটির অবস্থা সঙ্গীন হয়ে ওঠায় বাড়ির লোকেরা তাকে রিষড়ার নার্সিংহোমটিতেই ফিরিয়ে আনেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ডেথ সার্টিফিকেটে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ লিখেছেন, ‘কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর ইন এ কেস অব ডেঙ্গি ফিভার উইথ শক’।

Advertisement

রিষড়া বিদ্যাপীঠের দেওয়াল ঘেঁষেই নিখিলদের বাড়ি। তার পরিবারের লোকজন এবং পড়শিদের অভিযোগ, স্কুলে নির্মাণকাজের জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে কাজ শুরু হয়নি। সেই গর্তে জল জমে মশা জন্মায়। বিষয়টি বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তাঁরা গা করেননি বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রমোদকুমার তিওয়ারি অভিযোগ মানেননি। তিনি জানান, মিড ডে মিল খাওয়ার ঘর বানানোর জন্য ওই গর্ত খোঁড়া হয়। কিন্তু আদালত স্থগিতাদেশ দেওয়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘স্কুলে ছুটি পড়ার আগে পর্যন্ত মশা মরার তেল ছড়ানো হয়েছে।’’

এলাকার লোকজন জানান, পুরসভার তরফে মশার লার্ভা মারতে তেল ছেটানো হচ্ছে। বাড়িতে মশার লার্ভা মারতে জলে গুলে ছড়ানোর জন্য এক প্রকার ট্যাবলেটও বিলি হয়েছে। এলাকার কাউন্সিলর সাকির আলি বলেন, ‘‘ডেঙ্গির হানা রুখতে সব চেষ্টাই করছি। কিন্তু একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন