‘ফিক্সড ডিপোজিট’ হাতবদল, অভিযোগ

ওই দম্পতির নাম প্রণবকুমার দাস ও দীপ্তি দাস। প্রণববাবু অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। ওই দম্পতি জানান, ২০১৫ সালের ৬ অগস্ট তাঁরা ওই ব্যাঙ্কে ৬ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেন দুই বছরের জন্য। ওই সময়সীমা পেরনোর পাঁচ দিন পরে অর্থাৎ চলতি বছরের ১১ অগস্ট দীপ্তিদেবী ওই টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রৌঢ় দম্পতি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। নির্দিষ্ট সময় পেরনোর পরে সেই টাকা তুলতে তাঁরা গিয়ে দেখলেন, তাঁদের জমানো টাকা অন্য কেউ তা তুলে নিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনিতে। স্থানীয় মনোহরপুর চামুণ্ডাতলার বাসিন্দা ওই দম্পতি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।

Advertisement

ওই দম্পতির নাম প্রণবকুমার দাস ও দীপ্তি দাস। প্রণববাবু অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। ওই দম্পতি জানান, ২০১৫ সালের ৬ অগস্ট তাঁরা ওই ব্যাঙ্কে ৬ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেন দুই বছরের জন্য। ওই সময়সীমা পেরনোর পাঁচ দিন পরে অর্থাৎ চলতি বছরের ১১ অগস্ট দীপ্তিদেবী ওই টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে যান। তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানান, প্রণববাবু ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন। চাপাচাপি করায় বলা হয়, তাঁদের কোনও আত্মীয় ওই টাকা তুলেছেন। দীপ্তিদেবীর দাবি, ‘‘অনেক অনুরোধের পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ টাকা তোলার শংসাপত্র দেখান। তাতে দেখা যায়, কলকাতার নরসিংহ দত্ত রোডের ঠিকানা দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে। সেখানে আমার এবং স্বামীর নকল সই রয়েছে।’’

কেন তাঁদের না জিজ্ঞাসা করে অন্য কাউকে ওই টাকা দেওয়া হল, প্রণববাবুরা সেই প্রশ্ন তুলে ডানকুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে যেমন দীপ্তিদেবীর বক্তব্য, তাঁর স্বামী ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্থ নন। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে টাকা তোলার প্রশ্ন নেই। অন্য কেউ যদি জালিয়াতি করে টাকা তুলেও থাকে, ব্যাঙ্ক বা পুলিশ সেটা খুঁজে বের করুক। দীপ্তিদেবীর আক্ষেপ, ‘‘আমরা অতি সাধারণ মানুষ। অনেক কষ্ট করে ব্যাঙ্কে টাকা জমিয়েছিলাম। ব্যাঙ্ক আমাদের ওই টাকা ফেরত দিক। তা না করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।’’

Advertisement

পুলিশের বক্তব্য, ওই দম্পতির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই দম্পতিরই পরিচিত এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ওই টাকা রয়েছে। কী করে হাতবদল হল, দম্পতির সই নকল করা হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন