TMC

দুর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে, তদন্তের দাবি গ্রামবাসীর

অভিযোগকারীদের দাবি, সম্প্রতি ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৪১ টাকা খরচ করা হলেও নিকাশি নালা তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি

নিকাশি নালা নির্মাণের কাজে অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠল গোঘাটের তৃণমূল পরিচালিত হাজিপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নামোপোতা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ এ বিষয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন বিডিও (গোঘাট ২) কার্যালয়ে।

Advertisement

অভিযোগকারীদের দাবি, সম্প্রতি ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৪১ টাকা খরচ করা হলেও নিকাশি নালা তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। নালা সংস্কারে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছে। পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক এবং তৃণমূল নেতাদের একাংশের যোগসাজশে সরকারি অর্থ তছরূপ হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসী। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্মাণ সহায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধান। গত ৯ অক্টোবর পঞ্চায়েতেও গ্রামবাসীর তরফে এ নিয়ে একটি অভিযোগপত্র পাঠানো হয়। ় অভিযুক্ত নির্মাণ সহায়ক রাজেশ নস্করের দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি ছিল, গ্রামের নিকাশি নালা যেখান থেকে শুরু হয়েছে, সেখান থেকেই কাজ আরম্ভ করতে হবে। কিন্তু বার্ষিক পরিকল্পনায় তা না থাকলে করব কী করে?”

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই অভিযোগেরও কোনও ভিত্তি নেই। নিম্নমানের কাজ হয়নি। টেন্ডারের সব শর্ত মেনেই কাজ হয়েছে। তা ছাড়া ওই কাজের কোনও বিল এখনও হয়নি। টাকাও মেটানো হয়নি। তাহলে তছরুপের কথা আসছে কোথা থেকে?” ওই কাজে দুর্নীতি বা কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সুলেখা ঘোষও। গ্রামবাসীর দাবি, নির্মাণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবং নিম্নমানের কাজ হওয়ায় নালা দিয়ে জল বেরচ্ছে না। কেন নিকাশি নালার একাংশের সংস্কার কাজ বার্ষিক পরিকল্পনায় স্থান পায়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসী। এ প্রসঙ্গে প্রধানের বক্তব্য, “গ্রামবাসী যেখান থেকে নিকাশি নালার কাজ শুরুর দাবি করেছেন, সেখানে আগের পঞ্চায়েত বোর্ড কাজ করেছিল। সেই কাজ যে ভাল করে করা হয়নি, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। সেই কারণে জল নিকাশি হচ্ছে না।’’ প্রধান জানান, নালার ওই অংশের সংস্কার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে করা হবে। বিডিও (গোঘাট ২) অভিজিৎ হালদার বলেন, “আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও পৌঁছয়নি। এলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement