আর্সেনিকমুক্ত জলের ‘প্ল্যান্ট’ বসছে বলাগড়ে

জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের বিভাগের তরফে এই ব্লকে মোট ২০টি আর্সেনিকমুক্ত জ‌লের ‘প্ল্যান্ট’ বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৮
Share:

পানীয় জলের প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।

গরম পড়তেই পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলাগড়ে। নলকূপের জলে আর্সেনিকের ভয়। শতাধিক নলকূপে লাল রং দিয়ে কয়েক মাস আগেই ‘বিপদ সঙ্কেত’ জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাই সমস্যা সমাধানে বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের ‘প্ল্যান্ট’ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের বিভাগের তরফে এই ব্লকে মোট ২০টি আর্সেনিকমুক্ত জ‌লের ‘প্ল্যান্ট’ বসানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে। এক-একটি প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। গুপ্তিপাড়া-১ ও ২, চরকৃষ্ণবাটী, বাকুলিয়া-ধোবাপাড়া, মহীপালপুর, সোমরা-১ ও ২, জিরাট এবং শ্রীপুর-বলাগড় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ওই ‘প্ল্যান্ট’ বসানো হবে। মার্চ মাসের গোড়াতেই কাজের ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ হয়ে যায়। কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। ‘প্ল্যান্টে’ ঘণ্টায় এক হাজার লিটার জল শোধিত হতে পারে। মাসখানেকের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘প্ল্যান্ট হলে গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন। একটি প্ল্যান্ট থেকে কার্যত গোটা গ্রামের মানুষ বিশুদ্ধ জল নিতে পারবেন। আর্সেনিকের ভয় থাকবে না। তবে এতেও সমস্যা পুরোপুরি হয়তো মিটবে না। ভোটের পরে আরও প্ল্যান্টের আবেদন জানানো যেতে পারে।’’ গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, ‘‘আর্সেনিকের জন্য কিছু নলকূপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পুরনো নলকূপে জল ওঠে না। নতুন প্ল্যান্টে সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। আরও দু’টি প্ল্যান্ট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বলাগড় ব্ল‌ক আর্সেনিকপ্রবণ। কয়েক মাস আগে এই ব্লকের বিভিন্ন জায়গার নলকূপের জল পরীক্ষা করে আর্সেনিকের উপস্থিতির প্রমাণ পান প্রশাসনের কর্তারা। ফলে, ওই সব নলকূপ ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা সমস্যায় পড়েন। অনেক জায়গায় বিকল্প ব্যবস্থা না-থাকায় নিষেধ না-মেনে গ্রামবাসীরা ওই সব নলকূপ থেকেই জল নেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগে বিষয়টি নিয়ে তাদের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি লেখা হয়। তারপরেই কাজে গতি আসে। জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের আর্সেনিক টাস্ক ফোর্সের অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যবহার করেই জল শোধন করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন