ATM Dacoity

এটিএম থেকে টাকা লোপাট

সিসিক্যামেরা ভেঙে, গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিনের ভল্ট কেটে টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে চণ্ডীতলার মশাটের ঘটনা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ওই এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী নেই। সোমবার দুপুরেই ওই এটিএম মেশিেন টাকা ভরা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সিসিক্যামেরা ভেঙে, গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিনের ভল্ট কেটে টাকা লুঠ করল দুষ্কৃতীরা। সোমবার গভীর রাতে চণ্ডীতলার মশাটের ঘটনা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ওই এটিএমে নিরাপত্তারক্ষী নেই। সোমবার দুপুরেই ওই এটিএম মেশিেন টাকা ভরা হয়েছিল।

Advertisement

দুষ্কর্ম বাগে আনতে বছর খানেক আগে হুগলিতে পুলিশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজায় নবান্ন। কিন্তু কমিশনারেট থেকে গ্রামীণ পুলিশ এলাকা— দুষ্কর্ম বাগে আসেনি। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মশাটের ঘটনাটি। যার জেরে ফের প্রশ্নের মুখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা অধরা। খোওয়া যাওয়া টাকাও উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘ওখানে নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। দুষ্কৃতীরা টাকা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে।’’

Advertisement

মশাট বাজার এলাকায় অহল্যাবাই রোডের ধারেই ওই এটিএম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। পাশেই ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্ক খোলার সময় কর্মীরা লক্ষ্য করেন, এটিএমের শাটার নামানো। বাইরে ভাঙা কাচ। শাটার খুলে দেখা যায়, মেশিন ভাঙা। টাকা লোপাট। খবর পেয়ে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন তদন্তে আসেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা প্রথমেই এটিএমের বাইরে এবং ভিতরের সিসিক্যামেরা ভেঙে দেয়। তবে তাদের ঢোকার ছবি সিসিটিভিতে পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, রাত ২টো ৫৫ মিনিটে দু’জন এটিএমে ঢুকছে। তাদের মুখে গামছা বাঁধা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, দুষ্কৃতীরা এই কাজে পটু। যাতে কেউ কিছু টের না পায়, সে জন্য তারা শাটার নামিয়ে ‘অপারেশন’ চালায়। এটিএমের ডান দিকের অংশ কেটে টাকা বের করে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে আশপাশের সিসিটিভি-র ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ।

কত টাকা খোওয়া গিয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অলিভিয়া সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এটিএমে টাকা ভরার দায়িত্ব একটি এজেন্সির। কত টাকা খোওয়া গিয়েছে, আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’ সংশ্লিষ্ট এজেন্সির এক কর্মী জানান, সোমবার দুপুরে এটিএমে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ভরা হয়েছিল। টাকা ভরার খবর দুষ্কৃতীদের কানে কোনও ভাবে পৌঁছে গিয়েছিল কি না, পুলিশকে তা ভাবাচ্ছে। সন্ধ্যায় সিআইডি-র একটি দল তদন্তে আসে। তারা এটিএমে আঙুলের ছাপের নমুনা (ফিঙ্গার প্রিন্ট) সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা। সুজিত পা‌ল নামে এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘এই চত্বরে বেশ কয়েকটি এটিএম আছে। মাত্র দু’টিতে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। বাকিগুলি অরক্ষিত। রাতে পুলিশি টহল সে ভাবে চোখে পড়ে না।’’

পুলিশ আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, নিয়মিত টহলদারি চলে। নিরাপত্তারক্ষী রাখতে বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে লিখিত ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু তা হয়নি। আবারও বলা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন