গাছে পেরেক  নয়, কড়া প্রশাসন

উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় দামোদরের বাঁধের কাছে বাবলা, ঝাউ গাছে দিব্যি পতপত করে উড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা। সেগুলি পেরেক মেরে ঝোলানো হয়েছিল উলুবেড়িয়া লোকসভার উপ নির্বাচনের সময়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৪২
Share:

বেআইনি: গাছে পেরেক পুঁতে লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক দলের পতাকা, হোর্ডিং। ফাইল ছবি

সরকারি দেওয়ালে কোনওরকম নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না— এমনটাই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। কিন্তু গাছে পেরেক মেরে পতাকা টাঙানো হলে?

Advertisement

উলুবেড়িয়ার মহিষরেখায় দামোদরের বাঁধের কাছে বাবলা, ঝাউ গাছে দিব্যি পতপত করে উড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পতাকা। সেগুলি পেরেক মেরে ঝোলানো হয়েছিল উলুবেড়িয়া লোকসভার উপ নির্বাচনের সময়ে। প্রায় তিন মাস আগে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেইসব পতাকা আর খোলা হয়নি।

গাছের গায়ে পেরেক মারা বা রং করার বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, এর জেরে গাছের ক্ষতি হয়। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে গাছের গায়ে পেরেক মেরে নির্বাচনী প্রচার চালানো না হয়, তার জন্য প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সরকারি দেওয়াল বা অন্য কোনও গাছে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না।’’ মহিষরেখায় গাছে রাজনৈতিক দলের পতাকা লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি সরকারি জমির গাছে এটা করা হয় তা বেআইনি তো বটেই।’’

Advertisement

কী বলছেন রাজনৈতিক নেতারা?

সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘কর্মীদের আমরা সব সময়ে নির্বাচনবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিই। তা সত্ত্বেও কোথাও যদি গাছে পতাকা লাগানোর ঘটনা ঘটে আমরা কর্মীদের বলব খুলে দিতে।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা কোথাও সরকারি দেওয়াল বা সরকারি গাছে পতাকা লাগান না। যদি কোথাও সেরকন হয়ে থাকে, তা খুলে দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন