Leather worker

চর্মকারের মৃত্যুতে অবরোধ, ধস্তাধস্তি 

প্রোমোটারের শাস্তি এবং অশোকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিজেপি সরব হয়। ময়নাতদন্তের পরে দেহ নিয়ে সন্ধে ৬টা নাগাদ অবরোধ করে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেওড়াফুলি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক চর্মকারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার তপ্ত হল শেওড়াফুলি। এক প্রোমোটারের মানসিক নির্যাতনে চর্মকারের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। সন্ধ্যায় দেহ নিয়ে তারা জিটি রোড অবরোধ করে। পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। মৃতের নাম অশোককুমার দাস (৬৪)।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেওড়াফুলি স্টেশন এবং জিটি রোড লাগোয়া সিনেমা হলের পাশে একটি আবাসন তৈরি হচ্ছে। তার সামনে অশোক জুতো সেলাই করতেন। তাঁর দাদাও সেখানে একই কাজ করেন। সোমবার সকালে দোকান পাতার সময় হঠাৎই অশোক মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালেই দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।

অশোকের বাড়ি আদতে বিহারের বেগুসরাইতে। এ দিন সেখান থেকে তাঁর স্ত্রী সুশীলা-সহ অন্যেরা শেওড়াফুলিতে আসেন। সুশীলার অভিযোগ, বছর দুয়েক ধরে অশোককে দোকান সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন নির্মীয়মাণ ওই আবাসনের প্রোমোটার। বছর খানেক আগে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। তখন থেকে ছাতা খাটিয়ে বসছিলেন অশোক। এর পরে মানসিক নির্যাতন বেড়ে যায়। এই অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অশোক মারা গিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

Advertisement

প্রোমোটারের শাস্তি এবং অশোকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিজেপি সরব হয়। ময়নাতদন্তের পরে দেহ নিয়ে সন্ধে ৬টা নাগাদ অবরোধ করে তারা। পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। সুশীলার অভিযোগ, থানায় প্রোমোটারের বিরুদ্ধে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ নেয়নি।

পুলিশের বক্তব্য, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এবং গোটা বিষয়টি অনুসন্ধান করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রোমোটার অভিযোগ মা‌নেননি। তিনি বলেন, ‘‘জলদাপাড়ায় গিয়েছিলাম। আজকেই ফিরেছি। ওই ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন