বইপ্রেমী: নাতি-নাতনির জন্য বইয়ের খোঁজে ঠাকুরমা। নিজস্ব চিত্র
হুগলির গঙ্গাঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ গুপ্তিপাড়ায় মাঝ চৈত্রেই জমে উঠল বইমেলা। সন্ধ্যার ফুরফুরে হাওয়া যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে ভিড় বেড়েছে মেলার মাঠে। গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গত ৩০ মার্চ মেলা শুরু হয়েছিল। শেষ হল সোমবার। তৃতীয় বইমেলা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থ বিভাগের প্রাক্তন ডিরেক্টর রামকুমার মুখোপাধ্যায়, কবি অরুণ চক্রবর্তী, সাহিত্য সমালোচক ও আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষক অঞ্জন সেন। মেলা কমিটির সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানান, মোট ৪২টি স্টল ছিল। কলকাতার নামী প্রকাশনা সংস্থা থেকে গ্রামগঞ্জের প্রকাশক— কেউই বাদ পড়েননি। কচিকাঁচা থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, আটপৌঢ়ে বধূ সকলেই মেলায় এসেছেন। বই ঘেঁটে দেখার পাশাপাশি বিক্রিবাট্টাও মন্দ হল না। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ হাজার লোক হয়েছিল।
সাংস্কৃতিক মঞ্চে ছিল নানা স্বাদের অনুষ্ঠান। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতনতায় ছিলেন কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের কাউন্সিলর। লোকসঙ্গীত নিয়ে কর্মশালা হয়। ছিল বিতর্কসভা, নাটক, নাচ, গান, আবৃত্তি। কমিটির সভাপতি সুবোধ দে বলেন, ‘‘চা বাগানের গান, ভাটিয়ালি, টুসু, ভাদু হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই লোকসঙ্গীতের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।’’