বছর পেরোলেও হল না সেতু

২০১৬ সালের অগস্ট মাসে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হয়। দ্বারকেশ্বর নদের জল বেড়ে গোঘাটের বালি অঞ্চল-সহ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে যায় গোঘাটের বালি অঞ্চলের কৃষ্ণবল্লভপুর এলাকার একটি কংক্রিটের সেতু।

Advertisement

মোহন দাস

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

অবহেলায়: বর্ষা এলেও শুরু হয়নি সেতু তৈরির কাজ। গোঘাটের কৃষ্ণবল্লভপুরে। নিজস্ব চিত্র

বছর ঘুরে ফের বর্ষা এসে গেল। কিন্তু এখনও শুরু হল না হুগলির গোঘাটের কৃষ্ণবল্লভপুর এলাকার সেতু পুর্নর্নিমাণের কাজ।

Advertisement

২০১৬ সালের অগস্ট মাসে আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হয়। দ্বারকেশ্বর নদের জল বেড়ে গোঘাটের বালি অঞ্চল-সহ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে যায় গোঘাটের বালি অঞ্চলের কৃষ্ণবল্লভপুর এলাকার একটি কংক্রিটের সেতু।

ঝিঙ্কের খালের উপরের ওই সেতুটি এলাকাবাসীর কাছে খুবই জরুরি। সেটির উপরে ভরসা করতেন কৃষ্ণবল্লভপুর, ক্ষীরগ্রাম, ছোটদঙ্গল-সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে যেতে সেই সেতু ব্যবহার করা হতো। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েন। সাময়িক কাজ চালানোর জন্য ভাঙা সেতুটির পাশে বাঁশ-কাঠ দিয়ে একটি অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, ব্লক প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, শীঘ্রই নতুন কংক্রিটের সেতু তৈরি করা হবে। কিন্তু বছর ঘুরলেও সেই কাজ হয়নি।

Advertisement

ইতিমধ্যেই ফের বর্ষা এসে যাওয়ায় জল বাড়ছে দ্বারকেশ্বরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সাঁকোটি ভেঙে যে কোনও দিন ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ কোটালের ক্ষোভ, ধান, সর্ষে, তিল বোঝাই গরুর গাড়ি ওই কমজোরি সেতু দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। আরেক গ্রামবাসী সুজিত পোড়েল জানান, সাঁকোর অনেক বাঁশ ভেঙে গিয়েছে। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অসিতবরণ ঘোষ বলেন, ‘‘নতুন করে কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement