টুকরো খবর

কোথাও বাস অমিল। কোথাও গণ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রইল অন্য দিনের মতোই। বামেদের ডাকা পরিবহণ ধর্মঘটে শুক্রবার দুই চিত্র দেখা গেল হাওড়া এবং হুগলির নানা প্রান্তে। গ্রামীণ হাওড়ায় ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ে । কোথাও বাস না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩১
Share:

পৃথক ছবি দুই জেলায়

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

(ডান দিকে) প্রভাব পড়েনি হুগলিতে। ছবি: মোহন দাস।

Advertisement

কোথাও বাস অমিল। কোথাও গণ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রইল অন্য দিনের মতোই। বামেদের ডাকা পরিবহণ ধর্মঘটে শুক্রবার দুই চিত্র দেখা গেল হাওড়া এবং হুগলির নানা প্রান্তে। গ্রামীণ হাওড়ায় ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ে । কোথাও বাস না থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সরকারি বাসের সংখ্যাও অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। গ্রামীণ এলাকায় কয়েকটি রুটে বাস চলাচল এ দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। শ্যামপুর-বাগনান, শ্যামপুর-ধর্মতলা, কমলপুর-বারাসত, বাগনান-কমলপুর রুটের বাস পথে নামেনি। ডিহিভূরসুট-হাওড়া রুটের বাস সকালের দিকে পথে নামলেও বেলা বাড়তেই উধাও হয়ে যায়। অটো বা যাত্রিবাহী গাড়ি চললেও বাসের অভাব মেটেনি। আমতা-বাগনান, নারিট-হাওড়া, ঝিখিরা-হাওড়া রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়া সৌভিক চৌধুরী বলেন, “মাকড়দহ থেকে মোটরভ্যানে অঙ্কুরহাটি যাই। বহুক্ষণ অপেক্ষা করে সরকারি বাসে ধর্মতলায় গিয়েছি। খরচ হয় বেশি।” উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, ডানকুনি, চণ্ডীতলা, ধনেখালি, আরামবাগ-সহ হুগলির সর্বত্র লোকাল বাস চলেছে। আরামবাগ থেকে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর এবং কলকাতাগামী বাস কিছু কম চলেছে। জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘এই আন্দোলন যুক্তিযুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত। এই মুহূর্তে বাস বন্ধ করা সমীচীন মনে করিনি।”

কাজ বন্ধের নোটিস ফোর্ট গ্লস্টার মিলে

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাউড়িয়া

বোনাস নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শ্রমিক অসন্তোষে উত্তাল হয়েছিল বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার জুটমিল। রাতেই মিলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিলেন কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে মিলে ভাঙচুরকে কাজ বন্ধের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পুজোর মুখে এ ভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়লেন ওই মিলের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক। শুক্রবারও চটকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, এ দিন মিলের পরিস্থিতি নিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমাশাসকের দফতরে এক বৈঠক হয়। মহকুমাশাসক নিখিল নন্দনের উপস্থিতিতে বৈঠকে সামিল হন শ্রম আধিকারিকেরা, মিল কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও পুলিশ-কর্তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। বোনাস সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রম কমিশনারের দফতরে বৈঠক হবে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বোনাস কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকদের একাংশ মিলের অফিস-ঘরে ভাঙচুর করে আইএনটিটিইউসি-র কয়েক জন নেতাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয় উৎপাদন।

শিল্পীর তুলিতে সূক্ষ্ম টান। —নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন