জয়ী দলের ছবিটি তুলেছেন তাপস ঘোষ।
আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস ফেডারেশনের এক কর্তা বলছিলেন, ‘‘এ যেন এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম!’’
বাস্তবেই তাই। বছর দুয়েক আগে জলপাইগুড়ি থেকে পৃথক হয়ে নতুন জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে আলিপুরদুয়ার। নতুন এই জেলাটি এই প্রথম খেলতে নেমেছিল আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতায়। প্রথম বারেই বাজিমাত। টানটান ফাইনালে চন্দননগর জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল আলিপুরদুয়ার। রবিবার নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ২-২। জোড়া গোল করেও দলকে জেতাতে পারলেন না চন্দননগরের স্ট্রাইকার সুশান্ত সরকার।
রাজ্য ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস ফেডারেশন পরিচালিত দীনেশরঞ্জন মুখোপাধ্যায় স্মৃতি সিনিয়র আন্তঃজেলা নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়েছিল গত ২০ সেপ্টেম্বর। আইএফএ অনুমোদিত এই প্রতিযোগিতায় দু’টি গ্রুপে খেলা হয়। একটি গ্রুপের খেলা হয় শিলিগুড়িতে। অপর গ্রুপের খেলা হয় চন্দননগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় শহরের শহিদ কানাইলাল ক্রীড়াঙ্গনে (কুঠির মাঠ)।
প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে গোল করে আলিপুরদুয়ারকে এগিয়ে দেন শ্রীকুমার কার্জি। গোল খেয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠতে থাকে চন্দননগরের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেলেও তাতে গোল করতে পারেনি চন্দননগর। তবে খেলার তখনও অনেক কিছু বাকি ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের ২২ মিনিটে চন্দননগরের হয়ে সমতা ফেরান সুশান্ত সরকার। ইনজুরি টাইমে প্রেমবা রাইয়ের গোলে ফের এগিয়ে যায় আলিপুরদুয়ার। খেলার শেষ বাঁশি বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে চন্দননগরের হয়ে ফের সমতা ফেরান সুশান্ত। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ গোলে জিতে শেষ হাসি হাসে আলিপুরদুয়ার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জয়ী দলের মিডমিল্ডার আশিস কুজুর। প্রতিযোগিতায় মোট ৫টি গোল করে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হয়েছেন চন্দননগরের সুশান্ত সরকার। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস ফেডারেশনের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউ প্রমুখ।