ফাইল চিত্র।
পুজোর মুখে কলকাতায় ঘটেছে বিস্ফোরণ, প্রাণ গিয়েছে এক খুদের। জেলায় ধরা পড়েছে আন্তর্জাতিক এক চক্র। যারা বিদেশি সফ্টওয়ারের ব্যবহার করে ফোন কল করত বিভিন্ন দেশে। গ্রেফতার হয়েছে এক বাংলাদেশি-সহ চারজন।
এই পরিস্থিতিতে দুর্গোৎসবের মরসুমে কড়া পদক্ষেপ করছে চন্দননগর কমিশনারেট। পদস্থ কর্তারা অনেকেই জানিয়েছেন, যে কোনও উপায় তাঁদের আওতাধীন সাতটি থানা এলাকায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে বদ্ধ পরিকর তাঁরা। এ জন্য প্রয়োজনে রাজ্যের রিজার্ভ ফোর্স চেয়ে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
হুগলি জেলায় গত কয়েক বছরে ফের মাথা তুলছে ‘দুষ্কৃতীরাজ’। নামজাদা অপরাধীরা অনেকেই জেলের পিছনে। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে এলাকা কাঁপাচ্ছে নবীন সমাজবিরোধীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলগোত্রহীন এ সব দুষ্কৃতীদের ধরা বা নজরে রাখাও সমস্যার। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে জেলার তিন এলাকায় তিনটি অপরাধে অভিযোগ হয়েছে। ফলে পুজোর সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে চাইছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এ বার আরও বেশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে পুজো মণ্ডপ ও জনবহুল এলাকাগুলিতে। থাকবে প্রমীলা বাহিনীও। এমনকি ইভটিজারদের কাবু করতে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীদের চড়া মেক-আপ, সাজগোজের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পুজোর পর বিসর্জন নিয়েও সতর্কতা থাকছে। সে জন্য প্রতিটি থানা এলাকায় থাকবে পুলিশের নিজস্ব বাইক বাহিনী। কমিশনারেটের এক কর্তা জানাচ্ছেন, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিযোগিতা নিয়ে অনেক সময়ই অশান্তি লাগে। কিন্তু ভিড় ঠেলে এলাকায় পুলিশ পৌঁছতেই দেরি হয়ে যায়। সে জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে বাইক বাহিনী। যাতে সহজে এলাকায় পৌঁছতে পারেন পুলিশ কর্মীরা।
বিশেষ নজরদারি থাকছে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে। সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজর রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গঙ্গা পেরিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়, নৈহাটি, ব্যারাকপুর, বেলঘরিয়া থেকে অনেকেই এ পারে আসেন ঠাকুর দেখতে। তাদের মধ্যে মিশে থাকে দুষ্কৃতীরাও। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে ছিনতাই, পকেটমারির মতো ঘটনায় এলাকায় দুষ্কৃতীদের যোগ মেলে না। সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া উচিত পড়শি জেলার দিকে, মত পুলিশ কর্তাদের একাংশের।
তা ছাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ফেরি চলাচলেও বিপদের আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাই এ বার লঞ্চেও টহলদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগরের কমিশনার অজয় কুমার। তিনি বলেন, ‘‘পুজোর দিনগুলোতে সব দিক থেকে নিরাপত্তা দৃঢ় করতে চাইছি আমরা। যানজট এড়াতেও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’