মুম্বই থেকে উদ্ধার পাচার হওয়া প্রৌঢ়া

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন প্রৌঢ়া। অভাবের সংসার। বছর দশেক আগে ওই প্রৌঢ়ার বাড়িতে ভাড়া আসেন বারাসতের চাঁপাডালির বাসিন্দা বিশ্বনাথ পোদ্দার। গত জুনে খবরের কাগজে মুম্বইয়ে পরিচারিকার কাজের বিজ্ঞাপন দেখে বিশ্বনাথ প্রৌঢ়াকে প্রস্তাব দেন। প্রৌঢ়া রাজিও হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মাস চারেক আগে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রৌঢ়াকে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল তাঁরই ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে। মায়ের শোকে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল তাঁর ছেলে। মুম্বই থেকে চুঁচুড়ার তালডাঙা উদয়পল্লির সেই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে শুক্রবার ফিরিয়ে আনল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তবে, অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। সে কোনও পাচার চক্রে জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন প্রৌঢ়া। অভাবের সংসার। বছর দশেক আগে ওই প্রৌঢ়ার বাড়িতে ভাড়া আসেন বারাসতের চাঁপাডালির বাসিন্দা বিশ্বনাথ পোদ্দার। গত জুনে খবরের কাগজে মুম্বইয়ে পরিচারিকার কাজের বিজ্ঞাপন দেখে বিশ্বনাথ প্রৌঢ়াকে প্রস্তাব দেন। প্রৌঢ়া রাজিও হন।

প্রৌঢ়ার অভিযোগ, গত ৩০ জুন তিনি বিশ্বনাথের সঙ্গে বেরোন। প্রথমে দমদমের এখটি বৃদ্ধাবাসে তাঁকে রাখা হয়। পরের দিন তাঁকে হাওড়ার নিয়ে গিয়ে ১০ হাডার টাকার বিনিময়ে একজনের হাতে তাঁকে তুলে দেয় বিশ্বনাথ। মুম্বইয়ের ট্রেনে তুলে দিয়ে বিশ্বনাথ তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। মুম্বইতে তাঁকে একজনের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে কাজ না হলে মারধর করা হতো। পুলিশকে প্রৌঢ়া জানিয়েছেন, অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে কিছুদিন পরে তিনি পালান। আশ্রয় পান পশ্চিম আন্ধেরির এক বাঙালি পরিবারে। তাঁদের মাধ্যমেই তিনি চুঁচুড়ায় মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চুঁচুড়া থানার পাঁচ সদস্যের একটি দল ১৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই রওনা হয়।

Advertisement

গত ১১ জুলাই বিষ খেয়েছিল প্রৌঢ়ার বছর সতেরোর ছেলে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ১৩ জুলাই সে মারা যান। প্রৌঢ়ার মেয়ে বলেন, ‘‘বিশ্বনাথবাবুর সঙ্গে আমাদের সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ও যে এতবড় ক্ষতি করবে ভাবতে পারিনি। ওর যেন কঠিন শাস্তি হয়। মায়ের শোকে ভাই আত্মহত্যা করে।’’

শনিবার প্রৌঢ়াকে চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন