প্রতীকী ছবি।
মন্দিরের সামনে টোটো রাখা নিয়ে বচসার জেরে এক টোটোচালকের মাকে ত্রিশূল দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়ার মাখলায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া স্টেশনের কাছেই একটি মন্দিরের সামনে কিছু দিন ধরে টোটো রাখছিলেন রাজা প্রসাদ নামে এক যুবক। তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত।
রাজার অভিযোগ, তাপস মণ্ডল নামে এক যুবক তাঁকে বলে, মন্দিরের সামনে গাড়ি রাখলে চাঁদা দিতে হবে। কিন্তু তিনি ওই শর্তে রাজি হননি। দিন কয়েক ধরে তিনি অন্যত্র টোটো রাখছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় তাপস-সহ তিন যুবক মদ্যপ অবস্থায় তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায়। মারধর করে। বেগতিক বুঝে তিনি দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে মাকে ডাকেন।
ওই টোটোচালকের অভিযোগ, তাঁর মা পুনমদেবী বেরিয়ে এসে তাপসকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তখনই তাপস মন্দির থেকে ত্রিশূল এনে ত্রিশূল নিয়ে পুনমদেবীর বুকে ঢুকিয়ে দেয়। তাঁকে জখম অবস্থায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উত্তরপাড়া থানায় তাপসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তর্কাতর্কির সময় ওই টোটোচালককে ত্রিশূল নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। টোটোচালকের মা ছেলেকে বাঁচাতে এসে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ান। তখন ওই যুবক তাঁর বুকেই ত্রিশূল ঢুকিয়ে দেয়। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ এ দিকে, তাপসও একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশের কাছে সে দাবি করেছে, রাজা এবং অন্য কয়েক জন তাঁকে মারধর করে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় পুনমদেবীকে আঘাত করে ফেলার পরেই বেগতিক বুঝে তাপস নিজেই নিজেকে জখম করে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাপসের আঘাত সামান্য। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবক এক সময় দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ইদানীং তার নামে কোনও অভিযোগ পুলিশের খাতায় ছিল না। তাপসই মন্দিরটি দেখভাল করে।