মানতে নারাজ সেচ দফতর বাঁধেই দোকান, মন্ত্রীকে অভিযোগ বিধায়কের

বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি অভিযোগ করেন, ‘‘গত ছয় মাসে আমতায় দামোদরের বাঁধ জবরদখল করে আড়াইশোটি দোকান তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নুরুল আবসার

আমতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৪৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বাঁধে দোকানঘর তৈরির অভিযোগ নিয়ে বিতন্ডায় জড়ালেন বিধায়ক নির্মল মাজি এবং সেচ দফতরের কর্তারা। পুরো বিষয়টিই হল সেচমন্ত্রীর সামনে।

Advertisement

হাওড়া এবং হুগলির বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি দেখার জন্য সোমবার আমতায় এসেছিলেন সেচমন্ত্রী। সেখানে সেচ দফতরের বাংলোয় বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন দুই জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক এবং কয়েকজন বিধায়ক।

বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি অভিযোগ করেন, ‘‘গত ছয় মাসে আমতায় দামোদরের বাঁধ জবরদখল করে আড়াইশোটি দোকান তৈরি হয়েছে।’’ নির্মলবাবুর অভিযোগের পরে সেচ দফতরের বাস্তুকারেরা পাল্টা দাবি করেন, বিধায়ক ভুল তথ্য দিচ্ছেন। গত ছয় মাসে ওই বাঁধের উপরে একটি দোকান তৈরি হয়েছিল ঠিকই, তবে সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তখন নির্মলবাবু পাল্টা দাবি করেন, একটি দোকান ভাঙা হলেও নতুন করে আড়াইশো দোকান তৈরি হয়েছে। সেচমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নির্মলবাবু বলেন, ‘‘সেচ দফতরে চিঠি লিখলেও বাস্তুকারেরা কোনও ব্যবস্থা নেননি।’’ রাজীববাবু আমতা ডিভিশনের বাস্তুকারদের দামোদরের বাঁধে কতগুলি বেআইনি দোকানঘর রয়েছে সেটি সমীক্ষা করে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Advertisement

এখানেই শেষ নয়। নির্মলবাবুর পরে জবরদখল প্রসঙ্গে বলতে শুরু করেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণের বিধায়ক পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘যখন দেখছি সেচ দফতরের জায়গা জবরদখল হয়ে যাচ্ছে তখন তো আমরাও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারি। কারণ আমরা জনপ্রতিনিধি।’’ তিনি দাবি করেন, শ্যামপুরের গড়চুমুক ও আটান্ন গেট এলাকায় গঙ্গা এবং দামোদরের বাঁধের জবরদখল ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘হুগলি ও হাওড়ায় মুণ্ডেশ্বরী এবং দামোদরের বাঁধে জবরদখলকারীদের সাত দিনের মধ্যে তুলে দেওয়া হবে।’’ বৈঠকে কী হয়েছে সেই নিয়ে অবশ্য নির্মলবাবু বা পুলকবাবু কেউই মুখ খুলতে চাননি। দু’জনেই বলেন, ‘‘রূদ্ধদ্বার বৈঠকে যা আলোচনা হয়েছে, সেটি বাইরে
বলব না।’’

সেচ দফতরের হাওড়া নির্বাহী বাস্তুকারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই জবরদখলকারীদের চিহ্ন‌িত করার কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন