শোকার্ত: কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র
এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রিতা মণ্ডল (২৭) উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়ার বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রিতাকে সোমবার ভোরে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
মৃতার মা মিলন পাখিরার অভিযোগ, বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলত। তাতেই সন্দেহের বশে জামাই তারকনাথ মণ্ডল শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তাঁর মেয়েকে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একই গ্রামের তারকনাথের সঙ্গে রিতার বছর পনেরো আগে বিয়ে ঠিক হয়। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারকনাথ বছর খানেক ধরেই কোনও কাজ করতেন না। তবে সম্প্রতি তিনি একটি ডেকরেটর সংস্থায় কাজ পেয়েছিলেন। রিতা একটি চানাচুর তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তারকনাথের বাড়িতে মেরামতির কাজ চলায় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। রবিবার রাতে দুই মেয়েকে নিয়ে তারকনাথ এবং রিতা পাড়ার পুজো দেখতে গিয়েছিলেন। রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরলেও দুই মেয়েকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মামারবাড়িতে।
প্রতিবেশীরা জানান, রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ভোরে তারকনাথকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন পড়শিরা। সোমবার বেলা বাড়লেও ঘর থেকে রিতা না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় পড়শিদের। ঘরের শিকল খুলে দেখা যায়, খাটে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। প্রতিবেশীরাই খবর দেন রিতার বাপের বাড়িতে। তাঁর দাদারা এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
রিতাদেবীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘মেয়ের ফোনে কাজের জন্য অনেকে ফোন করত। আর তা নিয়ে সন্দেহের জেরে জামাই আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলল।’’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আর পলাতক তারকনাথকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।