Coronavirus

মাস্ক পরে বাজেট-সভা হুগলি জেলা পরিষদে

বাজেট সভায় জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, কর্মাধ্যক্ষ, আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ০৩:২৯
Share:

সতর্ক: করোনার ভয়ে মুখ ঢেকে চলছে বাজেট সভা । —নিজস্ব িচত্র

করোনা-আবহেই শুক্রবার হুগলি জেলা পরিষদের ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হল। ঘাটতি মেটাতে আয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্র থেকে সেই আয় হতে পারে, তা নিয়েও পর্যালোচনা হয়।

Advertisement

বাজেট সভায় জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, কর্মাধ্যক্ষ, আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। করোনা-আবহে এই সভার আয়োজন নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল।

তবে, বৈঠকে ঢোকার মুখে থার্মাল গান দিয়ে সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুয়েছেন। মাস্কও ব্যবহার করেছেন।

Advertisement

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পূর্ব নির্ধারিত থাকায় এই কর্মসূচি হয়েছে। যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। বাজেট পেশের পরেই সভা শেষ করে দেওয়া হয়। মাত্র আধ ঘণ্টা সভা চলেছে।’’

জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, আগামী অর্থবর্ষে ২৯০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ত ও পরিবহণ খাতে ধার্য করা হয়েছে ১৭৭ কোটি টাকা। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। কৃষি-সেচ-সমবায়ে সাড়ে ৭ কোটি, বন ও ভূমির ক্ষেত্রে ১০ কোটি, শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য ও ক্রীড়া খাতে ধরা হয়েছে ৩ কোটি টাকা। অর্থ, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির ক্ষেত্রে প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে আয় ধরা হয়েছে ২৮৮.৫ কোটি টাকা।

সেই হিসেবে দেড় কোটি টাকা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তা মেটাতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এগোনো হবে জানিয়ে সুবীরবাবু বলেন, ‘‘নিজস্ব তহবিল-সহ অন্যান্য খাতে গত বার আয় বেড়েছে। এ বার তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ঘাটতি মিটিয়ে অর্থ উদ্বৃত্ত থেকে যাবে।’’

কী ভাবে বাড়বে আয়?

সভায় ঠিক হয়, আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে জেলা পরিষদের আওতায় থাকা বাজারের ইজারা শেষ হলে তা নবীকরণ করা হবে। পুকুরে মাছ চাষের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রেও ইজারা শেষ হয়ে গেলে নবীকরণ করা হবে। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা বিনোদন পার্ক নতুন করে সাজানো হবে, যাতে বেশি পর্যটক আসেন। জেলা পরিষদের বাংলোও সংস্কার করা হবে। বিভিন্ন খাতে বকেয়া পাওনা আদায়ে জোর দেওয়া হবে। বেআইনি ভাবে গড়ে ওঠা আবাসন যে সব ক্ষেত্রে ভাঙা সম্ভব হবে না, সে ক্ষেত্রে জরিমানা আদায় করা হবে। এই সমস্ত উপায়ে জেলা পরিষদের কোষাগার শক্তিশালী হবে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন