Coronavirus

গৃহবন্দি থাকতে হবে, ফতোয়া স্বাস্থ্যকর্মীকে

পান্ডুয়ার শিখিরা-চাপ্তা পঞ্চায়েতের চাপ্তা গ্রামের বাসিন্দা হেমলতা বাছার মণ্ডল নামে ওই স্বাস্থ্যকর্মী বুধবার দুপুরে কাজ সেরে ফিরতেই বেশ কিছু গ্রামবাসী তাঁর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি

তিনি প্রসূতি ও শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্সে স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করেন। সেই কাজে তাঁকে হাসপাতালেও যেতে হয়। করোনা আতঙ্কে তাঁকেও গৃহবন্দি থাকার ‘ফতোয়া’ শুনতে হল গ্রামবাসীদের একাংশের কাছ থেকে।

Advertisement

পান্ডুয়ার শিখিরা-চাপ্তা পঞ্চায়েতের চাপ্তা গ্রামের বাসিন্দা হেমলতা বাছার মণ্ডল নামে ওই স্বাস্থ্যকর্মী বুধবার দুপুরে কাজ সেরে ফিরতেই বেশ কিছু গ্রামবাসী তাঁর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। ওই ‘ফতোয়া’য় বিচলিত হয়ে পড়েন হেমলতা এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের জলের লাইন কেটে দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার অবশ্য জুড়ে দেওয়া হয়।

হেমলতার অভিযোগ, ‘‘করোনা চিকিৎসার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। সে কথা ওরা শুনতে চায়নি। হাসপাতালে যেতে হয় বলে ওরা বলেছে, হয় গ্রাম ছাড়তে হবে, নয়তো গৃহবন্দি থাকতে হবে। স্বামীকেও হুমকি দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি না মিটলে আমি কাজ করতে পারব না, এমন হুমকিও দেওয়া হয়। আতঙ্কে রয়েছি।’’

Advertisement

হেমলতা সমস্যার কথা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রদীপ কুণ্ডু এবং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরেও জানা‌ন। উপপ্রধান বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে মানুষের মনে কিছুটা অকারণ আতঙ্ক রয়েছে। তার ফলেই কিছু মানুষ ওই কাজ করেছেন। এটা ঠিক হয়নি। আমি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। হেমলতা কাজে বেরোতে পারবেন।’’ পান্ডুয়ার বিএমওএইচ শ্রীকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement