প্রতীকী ছবি
হোম কোয়রান্টিনে নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠছে হাওড়ার বহু বাসিন্দার বিরুদ্ধে। আর তাতেই প্রমাদ গুনছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন। নিয়ম না মানার অভিযোগ পেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে হোম কোয়রান্টিনে যিনি থাকবেন তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হবে। মুচলেকা নেওয়া হবে পরিবারের কাছ থেকেও। সেই মুচলেকায় হোম কোয়রান্টিনের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য থাকার কথা লিখতে হবে।
চলতি মাসের গোড়া থেকেই বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে আগতদের জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বলা হয়েছে, বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে যারা এলাকায় ফিরছেন, তাঁদের ১৪ দিন নজরদারিতে থাকতে হবে। এর
মধ্যে যদি কারও শরীরে সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাকে পাঠানো হবে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
আর যদি শরীরে সন্দেহজনক উপসর্গ না মেলে তা হলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। হাওড়া জেলায় এ পর্যন্ত ৬৩৮ জনকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। বেশিরভাগ হোম কোয়রান্টিনে আছেন।
শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া, ডোমজুড়, আমতা-সহ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার বহু গৃহবন্দি মানুষের বিরুদ্ধেই নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এমন ফোন পেতে নাজেহাল হচ্ছেন। আশাকর্মী থেকে শুরু করে ব্লক ও পঞ্চায়েত কর্তারা গ্রামে গিয়ে বুঝিয়ে আসছেন নিয়ম মানার জন্য। এই পরিস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কড়া নির্দেশ কাজে আসবে বলেই অনুমান প্রশাসনের।
ঠিক হয়েছে, সই করার পরেও যদি দেখা যায় কেউ নিয়ম মানছেন না, তাঁকে পুলিশ হাসপাতালের কোয়রান্টিনে পাঠাবে। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, "এমন জটিল পপরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।"
হুগলিতেও বিদেশ থেকে ঘরে ফিরে আসা অনেককেই হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওযা হযেছে চিকিসকদের তরফে। কিন্তু অনেকেই সেই নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে কানাঘুঁষো চলছে বিভিন্ন এলাকায়। স্বাস্থ্য দফতর বা প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এমন অভিযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হবে সেই ব্যাপারে সোমবার জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন।
আলোচনায় ঠিক হয়েছে, হোম কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিদের প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে কোয়রান্টিনে থাকার সময়সীমা উল্লেখ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরে থাকার নির্দেশ লিখে দেওয়া হবে। ওই নির্দেশ অমান্য করার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরকারি কোয়রান্টিনে নিয়ে আসা হবে।