প্রতীকী ছবি।
মাঠে পড়ে থাকা টায়ার ও মার্বেল নিয়ে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সাড়ে চার বছরের শুভজিৎ রায়চৌধুরী। কিন্তু খেলার ছলে পিছন থেকে তার গলায় টায়ার চেপে ধরে
আর এক বন্ধু। এতেই ঘটে বিপত্তি। টায়ারের ভিতরের একটি তার ঘাড়ে ঢুকে যায় একরত্তি শুভজিতের। সেই ঘটনার ১৫ দিন পরে মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করে সেই তার বার করলেন এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
হুগলি জেলার রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা শুভজিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে বিকেলে খেলাধুলো শেষে বাড়ি ফিরেই তার ঘাড়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। রাত বাড়তেই শুরু হয় বমি। পরের দিন এক্স-রে করে জানা যায়, শুভজিতের ঘাড়ে কিছু একটা আটকে রয়েছে। এর পরেই তড়িঘড়ি তাকে এন আর এসে নিয়ে আসেন পরিজনেরা।
এন আর এসে শুভজিতের ঘাড়ের এক্স-রে ছাড়াও সিটি স্ক্যান, ইসিজি, রক্ত পরীক্ষা করানোর পরে চিকিৎসকেরা জানান, তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে। সংক্রমণ রুখতে ভর্তি হওয়ার পরেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া শুরু হয়। ইএনটি বিভাগের প্রধান তপনকান্তি হাজরা এ দিন বলেন, ‘‘সরু ওই তার ঘাড় এবং গলার ভিতরে ঢুকেছিল। সেটি মেরুদণ্ডেও আঘাত করে। অস্ত্রোপচার করে ওই তার বার করা হয়।
এর পরে মেরুদণ্ডের ভিতরের মজ্জাও বার হতে থাকে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই আঘাতও বন্ধ করা হয়েছে।’’
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আরও কয়েক দিন ওই সরু তার শুভজিতের ঘাড়ে আটকে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ত। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারত। এর পাশাপাশি, গলার স্বর হারানোর ঝুঁকিও ছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সফল অস্ত্রোপচারের পরে আপাতত সুস্থ আছে শুভজিৎ