কবর থেকে দেহ তুলে পাঠানো হল ময়নাতদন্তে

 মেয়ের মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময়ই গায়ে আঘাতের দাগ দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাপের বাড়ির লোকেদের। বাড়ি ফিরে সে কথা জানানোর পরই মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। ডোমজুড়ের কেশবপুর গ্রামের সরিফা বেগম (২০) নামে ওই মৃতের দেহ কবর থেকে তুলে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০৫
Share:

উদ্ধার: কবর থেকে তোলা হচ্ছে মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র

মেয়ের মৃতদেহ কবর দেওয়ার সময়ই গায়ে আঘাতের দাগ দেখে সন্দেহ হয়েছিল বাপের বাড়ির লোকেদের। বাড়ি ফিরে সে কথা জানানোর পরই মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। ডোমজুড়ের কেশবপুর গ্রামের সরিফা বেগম (২০) নামে ওই মৃতের দেহ কবর থেকে তুলে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ।

Advertisement

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী-সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত সরিফা বেগমের (২০) বাপের বাড়ি জগৎবল্লভপুরের সন্তোষপুরে। বছরখানেক আগে সরিফার বিয়ে হয়েছিল ডোমজুড়ের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী শেখ রাকিবুলের সঙ্গে। গত ২১ নভেম্বর সকালে সরিফার মৃত্যু হয়। বাপের বাড়ির লোকজনকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানান, তিনি পেটের যন্ত্রণায় মারা গিয়েছেন। ওইদিন বিকেলেই সরিফাকে শ্বশুরবাড়িতে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

মুসলিম নিয়মমতে কবর দেওয়ার আগে স্নান করানোর সময়ই সন্দেহ হয় মেয়েটির বাপের বাড়ির মহিলা সদস্যদের। দেখা যায়, মৃত বছর কুড়ির সরিফ বেগমের দেহে চাপ চাপ রক্ত। সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন।

বাড়ি ফিরে সরিফার বাবাকে বিষয়টি জানান বাড়ির মহিলা সদস্যরা। বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রটের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূর দেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।

সরিফার বাবা বলেন, ‘‘বিষয়টা জানানোর পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করি। সংসারে অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন