প্রতীকী ছবি।
দাবিমতো চাঁদা দিতে রাজি হননি। এই ‘অপরাধে’ চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনি এলাকার অশোক হোড় নামে এক প্রৌঢ়ের বাড়িতে শুক্রবার হামলা এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বাপি চৌধুরী। রবিবার চন্দননগর আদালতে তাঁকে পাঁচ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। অন্য তিন অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
অশোকবাবুর একটি ছোট পান-সিগারেটের দোকান রয়েছে মানকুণ্ডু স্টেশনের কাছে। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর সংসার। বড় ছেলে টোটো চালান। ছোট ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। অশোকবাবু বলেন, ‘‘আমার সামান্য রোজগার। গতবার কয়েক হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছিলাম। এ বার ওরা তিন লক্ষ টাকা চাইল। দেব কী করে? আমি পাঁচ হাজার টাকা দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু ওরা শুনল না। হামলা করল।’’
পুজোর আয়োজক যে ক্লাবের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ, তার সম্পাদক চন্দন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে কোনও বিল কাটা হয়নি। ভাল চাঁদার আবদার করা হয়েছিল শুধু। তিনি রাজি না-হওয়ায় একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। মারধর বা হামলা কিছুই হয়নি।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবের পাশেই অশোকবাবুর বাড়ি। শুক্রবার ক্লাবের কিছু সদস্য অশোকবাবুর কাছে চাঁদা চাইতে যান। অশোকবাবু দাবিমতো চাঁদা দিতে পারবেন না বলায় ওই ক্লাব-সদস্যেরা তখনকার মতো ফিরে যান। রাতে বাপি-সহ চার জন অশোকবাবুর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অশোকবাবু এবং তাঁর বড় ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।