ভোট শেষ, দেওয়াল ফেরাতে হুঁশ নেই রাজনৈতিক দলগুলির

নির্বাচন মানে প্রচার। আর প্রচার মানে দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরজা। যেখানে অবলীলাল চলে প্রতিপক্ষকে বিঁধে নানা ব্যঙ্গচিত্র। কিন্তু ভোট মিটলে সে সবের দিকে আর কোনও রাজনৈতিক দলেরই নজর থাকে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৬ ০২:৩৫
Share:

চুঁচুড়া কেন্দ্রে বহু দেওয়ালই এখনও এভাবেই রঙিন। ছবি: তাপস ঘোষ।

নির্বাচন মানে প্রচার। আর প্রচার মানে দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরজা। যেখানে অবলীলাল চলে প্রতিপক্ষকে বিঁধে নানা ব্যঙ্গচিত্র। কিন্তু ভোট মিটলে সে সবের দিকে আর কোনও রাজনৈতিক দলেরই নজর থাকে না। এ নিয়ে বারবার দৃশ্যদূষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রয়েছে ভোটপর্ব মিটে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের দেওয়াল লিখন নিজেদের খরচে মুছে দেবে।

Advertisement

কিন্তু হুগলিতে ভোটপর্ব মিটে গেলেও দেওয়াল লিখন মোছা নিয়ে এখনও রাজনৈতিক দলগুলিকে সে ভাবে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। জেলার অনেক জায়গাতেই নিজেদের ফ্লেক্স, পোস্টার খুলে ফেললেও দেওয়াল মোছার ক্ষেত্রে গড়িমসি থেকে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির। শ্রীরামপুর থেকে আরামবাগ, তারকেশ্বর, সপ্তগ্রাম, চুঁচুড়া থেকে চন্দননগর—সর্বত্রই একই ছবি। জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘নির্বাচনী প্রচারের জন্য ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মালিকানাধীন দেওয়াল মুছে ফেলার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলির। সেখানে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নেই।’’

দেওয়াল মোছা নিয়ে কী বলছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা?

Advertisement

চুঁচুড়া বিধা‌নসভা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রণব ঘোষ জানালেন, ‘‘দেওয়াল লিখন আমাদের খুব একটা ছিল না। বেশিরভাগ দেওয়ালই শাসকদলের দখলে ছিল। তবে দলের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দেওয়াল লিখন মুছে ফেলার কাজ শুরু হবে।’’

সপ্তগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘নির্বাচনে প্রচারের জন্য দেওয়াল লিখন করা হয়। তবে এই দৃশ্যদূষণ রুখতে আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেওয়াল মুছে ফেলার কাজ শুরু করে দেব।’’ চন্দননগরের সিপিএম প্রার্থী গৌতম সরকার বললেন, ‘‘খুব শীঘ্রই আমরা দেওয়াল মুছে ফেলার কাজে হাত দেব।’’ সপ্তগ্রাম বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী দিলিপ নাথের কথায়। ‘‘আমাদের দেওয়াল লিখন খুবই কম ছিল। কারণ অধিকাংশ দেওয়ালই শাসকদলের দখলে। তবে যেটুকু দেওয়াল লিখন হয়েছে তা অবশ্যই মুছে ফেলা হবে।’’ চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চম্পা চক্রবর্তী জানালেন, ‘‘শহরের অধিকাংশ দেওয়ালই তো তৃণমূল এবং বামেদের দখলেছিল। আমাদের যে কয়েকটি দেওয়াল লিখন হয়েছিল তা শীঘ্রই মুছে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন