হাওড়া

বাড়ছে জ্বরের রোগী, চিন্তিত স্বাস্থ্যকর্তা

রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ দেথা গিয়েছে। তাই ডেঙ্গি প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নানা কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৬
Share:

আবর্জনার স্তূপ। বৃহস্পতিবার বাউড়িয়ায় ছবি তুলেছেন সুব্রত জানা।

রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ দেথা গিয়েছে। তাই ডেঙ্গি প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনকে নানা কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় তেমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

কোথাও রাস্তার দু’ধারে জমা জল, কোথাও আবর্জনার স্তূপ। বাউড়িয়া স্টেশন এলাকায় দেখা গেল, রেলের রাস্তা এবং পুরসভার রাস্তার সংযোগস্থলের কাছে বড় বড় গর্ত। তাতে জমে আছে। কিছুটা এগোলেই পড়ে বাউড়িয়া কমিউনিটি হল। ওই হলের পাশে আবর্জনা ভর্তি। রাস্তার দু’পাশে রয়েছে একাধিক পুকুর। সেগুলি কচুরিপানায় ভর্তি। পরিষেবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল ফোর্টগ্লস্টার কেবল কারখানা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’মাস ধরে হাওড়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১২০ জন করে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে গত দু’মাসে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিনশো রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই হাসপাতালের সুপার সুদীপ রঞ্জন কাঁড়ার বলেন, ‘‘কারও রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া যায়নি। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা আমাদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বহু জ্বরের রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে কয়েকদিন পরে ফের জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন।’’ এই চিত্র ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও দেখা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৯। সরকারিভাবে মারা গিয়েছেন ১ জন।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন করতে জেলা জুড়ে প্রচার চলছে। হাওড়া ও উলুবেড়িয়া পুরসভাতেই জল জমে থাকার সমস্যা বেশি। গ্রামীণ এলাকায় এই সমস্যা খুব একটা নেই। সেই করাণেই আক্রান্তদের মধ্যে দুই পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের সংখ্যা বেশি।’’

কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের সেই দাবির সঙ্গে মিল নেই। জেলাবাসীর অভিযোগ, সচেতন করতে লিফলেট, হোর্ডিং বা ট্যাবলো কিছুই চোখে পড়েনি। ডেঙ্গি নিয়ে প্রচার চোখে পড়েনি গ্রামীণ এলাকাতেও। বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য পুরসভার তরফে স্কুলগুলিতে ব্লিচিং পাওড়ার আর মশা মারার তেল ছড়ানো হয়েছে। উলুবেড়িয়ার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান বলেন, ‘‘এই এলাকায় ডেঙ্গি দেখা যায়নি। তবুও আমরা সচেতন আছি। মশা মারা ও জন সচেতনতা বাড়ানোর জন্য পুরসভা চেষ্টা করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন