গ্রেফতার: আদালতে মৃণাল ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
ফের জালে ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার। মঙ্গলবার সকালে উদয়নারায়ণপুরের দেবীপুর গ্রাম থেকে মৃণাল ভট্টাচার্য নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপরই মৃণালবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুমিতকুমার বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আদতে মাধ্যমিক পাশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ বছর ধরে উদয়নারায়ণপুর এবং জয়পুরের ঝিকিরায় বিডিএস পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করতেন বছর ছেচল্লিশের মৃণালবাবু । দাঁতের সাধারণ চিকিৎসা থেকে শুরু করে দাঁত তোলা, রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট প্রভৃতিও করতেন। দুটি চেম্বারেই তাঁর নাম লেখা বোর্ড ঝুলত।
স্থানীয় এক সরকারি দন্ত চিকিৎসক পুলিশের কাছে মৃণালবাবুর নামে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। যে সংস্থা দাঁতের ডাক্তারদে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয় সেই ওয়েস্টবেঙ্গল ডেন্টাল কাউন্সিলের কাছে মৃণালবাবুর তথ্য দিয়ে সত্যতা জানতে চাওয়া হয়। সোমবারই কাউন্সিল জানিয়ে দেয় মৃণালবাবুর রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি ভুয়ো। পুলিশ জানিয়েছে, মৃণালবাবুর চেম্বার থেকে যে লেটারহেড উদ্ধার হয়েছে তাতে তাঁর নামের নীচে লেখা আছে ‘ব্যাচেলার ডিগ্রি অফ ডেন্টাল ইন অলটারনেটিভ সিস্টেম।’ যে প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ডিগ্রি পেয়েছেন, সেখানে লেখা রয়েছে ‘ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন।’
এর আগে বাউড়িয়া, মুন্সিরহাট এবং ডোমজুড় থেকে তিন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ভুয়ো দাঁতের ডাক্তার ধরা পড়ার ঘটনা এই প্রথম।