স্রোতে ভাসা দেহ উদ্ধারে তিন থানার ঠেলাঠেলি

পুলিশে ছুঁলে নাকি আঠারো ঘা! এতদিন এটাই শুনে এসেছেন উলুবেড়িয়ার তরুণ শাসমল। আর না ছুঁলে যে কী হয়, মঙ্গলবার দিনভর দামোদরের ঘাটে ঘাটে আত্মঘাতী মেয়ের মৃতদেহের পিছনে নৌকায় ছুটতে ছুটতে মালুম হল তাঁর।

Advertisement

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৬ ০১:১৫
Share:

প্রিয়া বিশ্বাস।

পুলিশে ছুঁলে নাকি আঠারো ঘা! এতদিন এটাই শুনে এসেছেন উলুবেড়িয়ার তরুণ শাসমল। আর না ছুঁলে যে কী হয়, মঙ্গলবার দিনভর দামোদরের ঘাটে ঘাটে আত্মঘাতী মেয়ের মৃতদেহের পিছনে নৌকায় ছুটতে ছুটতে মালুম হল তাঁর।

Advertisement

দেহ উদ্ধার করবে কে? চলল থানায় থানায় চাপান-উতোর। কোনও থানার পুলিশই এল না। মেয়ের দেহ উদ্ধার করলেন তরুণবাবু নিজেই। কিন্তু ময়না-তদন্তে হবে কী করে? সেখানেও বিস্তর হ্যাপা। সব শেষে বুধবার ময়না-তদন্তের পরে ক্লান্ত তরুণবাবু বলেই ফেললেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে মেয়েটা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। আর পুলিশের জন্য মেয়েটা মরেও শান্তি পেল না।’’

বছর দেড়েক আগে উলুবেড়িয়ার খলিসানির বাসিন্দা তরুণবাবু আমতার খড়িয়পের বাসিন্দা রাজেশ বিশ্বাসের সঙ্গে মেয়ে প্রিয়ার বিয়ে দেন। তরুণবাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাড়তি পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে প্রিয়ার উপরে অত্যাচার শুরু হয়। গত রবিবার বছর কুড়ির প্রিয়া আমতার বেতাইয়ে গিয়ে ভারতচন্দ্র সেতু থেকে দামোদরে ঝাঁপ দেন। তরুণবাবু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রাজেশ ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

তবু শান্তি পাননি তরুণবাবু। কারণ, তখনও মেয়ের দেহ মেলেনি। আমতা থানার ভরসায় না থেকে তরুণবাবু নিজেই লোকজন জুটিয়ে নৌকা নিয়ে দামোদরে তল্লাশি শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে বাগনানের খাদিনান ঘাটে প্রিয়ার দেহ মেলে। খবর পেয়ে তরুণবাবুরা আমতা থানায় জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement