ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।
প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যে জিনিস দেখা গিয়েছিল, তা দেখা গেল তৃতীয় ম্যাচেও। আবারও প্রথমে ব্যাট করে কম রানে আটকে গেল শ্রীলঙ্কা। আবারও রান তাড়া করে অনায়াসে জিতল ভারত। শুক্রবার তিরুঅনন্তপুরমে শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ় জিতে নিল ভারত।
ব্যাট হাতে স্মৃতি মন্ধানা আবার ব্যর্থ হলেও, এক বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে চার উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেন রেণুকা সিংহ ঠাকুর। নজির গড়লেন দীপ্তি শর্মাও। আগে ব্যাট করে ১১২/৭ তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। ভারত জিতল ৪০ বল বাকি থাকতেই। শেফালি ওপেন করতে নেমে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে শেষ বার টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন রেণুকা। শুক্রবার ফিরেই তিনি ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংকে ধসিয়ে দিলেন। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিলেন দীপ্তি। হাসিনি পেরেরার (২৫) সৌজন্যে শ্রীলঙ্কার শুরুটা খারাপ হয়নি। রেণুকার প্রথম ওভারেই ১২ রান নেন হাসিনি। তবে উল্টো দিক থেকে একের পর এক উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
চামারি আটাপাট্টুকে (৩) ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন দীপ্তি। রেণুকা দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারেই দু’টি উইকেট তুলে নেন। দশম ওভারে আবার উইকেট নেন। কাবিশা দিলহারি (২০) এবং ইমেশা দুলানি (২৭) ৪০ রানের জুটি না গড়লে আরও খারাপ ভাবে হারত শ্রীলঙ্কা।
এ দিন ভারতের পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে ১৫০টি উইকেট নিলেন দীপ্তি। কাবিশাকে ফিরিয়ে এই কীর্তি অর্জন করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার মেগান শুটের (১৫১) সঙ্গে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থানে রয়েছেন দীপ্তি। আর একটি উইকেট পেলেই নতুন নজির গড়বেন।
রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই হারায় স্মৃতিকে। তৃতীয় ওভারে কাবিশার বলে মাত্র এক রানে এলবিডব্লিউ হন স্মৃতি। তবে শেফালি শুরুটা ভাল করেন। মালশা শেহানির প্রথম ওভার থেকেই ১৪ রান তুলে নেন। এর পর ম্যাচ যত গড়িয়েছে, ততই শেফালির দাপট বেড়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও একার হাতে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। ২২ বছর হওয়ার আগে টি-টোয়েন্টি সবচেয়ে বেশি অর্ধশতরানের নিরিখে সবার উপরে চলে গেলেন শেফালি (১৩)।