বেহাল অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা

হুগলির হাসপাতালে ফায়ার অডিট

সম্প্রতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে আগুন লাগে। তাতেই আগুনের সামনে কলকাতার নামীদামি হাসপাতালগুলি নিজেকে বাঁচাতে কতটা তৈরি সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৩
Share:

সম্প্রতি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে আগুন লাগে। তাতেই আগুনের সামনে কলকাতার নামীদামি হাসপাতালগুলি নিজেকে বাঁচাতে কতটা তৈরি সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই অবস্থায় হুগলি জেলার হাসপাতালগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার হালহকিকত বুঝতে (ফায়ার অডিট) ময়দানে নেমেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা তাঁদের হাসপাতালে আছে তা জানাতে জেলার প্রতিটি হাসপাতালের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে আগুন লাগলে পরিস্থিতি সামাল দিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ততটা মজবুত নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালগুলির ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে। এর থেকে রেহাই পেতে জেলার সমস্ত সরকারি হাসপাতাতে ফায়ার অডিটের ব্যবস্থা হয়েছে।’’

জেলা সরকারি হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন তা জানতে গিয়ে দেখা গেল, উত্তরপাড়া জেনারেল হাসপাতালে এমার্জেন্সি কোনও সিঁড়ি নেই। একইভাবে জেলা সদর চুঁচুড়া পাশাপাশি চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালেও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায় নানা ফাঁক রয়েছে।

Advertisement

শুভ্রাংশুবাবু বলেন, ‘‘ফায়ার অডিটের পর প্রতিটি হাসপাতালে আগু নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখে টাকার জন্য সরকারের কাছে দরবার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন