নিকাশির হাল ফেরাতে ময়দানে হাওড়ার মেয়র

ইছাপুর পাম্পিং স্টেশন থেকে নরসিংহ দত্ত রোড হয়ে আসা ১৪০০ মিলিমিটারের ওই নিকাশি পাইপলাইন এসে যোগ হওয়ার কথা ছিল বেলিলিলিয়াস রোডের দিক থেকে আসা পাইপলাইনের সঙ্গে। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া সেই কাজ থমকে গিয়েছিল কদমতলা মোড়ে এসে। বারবার ধস নামায় মাত্র ১৫ মিটার ব্যবধানের এই পাইপলাইন বসাতে ব্যর্থ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এইচআইটি)।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০২:৫২
Share:

নিষ্পত্তি: দশ বছর পরে শেষ হল কাজ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

দু’টি নিকাশি পাইপলাইনের সংযোগ হতে বাকি ছিল মাত্র ১৫ মিটার। কিন্তু তা হতে সময় লেগে গেল ১০ বছর!

Advertisement

এর জেরে দশ বছর ধরে শুধু যে জনজীবনই ব্যাহত হচ্ছিল তা নয়, বাস চলাচলে সমস্যা হওয়ায় উঠে যায় একটি বাস রুটও। নাজেহাল হন স্থানীয় কলেজের পড়ুয়ারা। গাড়ি চলতে না পারায় রুগ্ণ হয়ে পড়ে কয়েকটি কলকারখানাও। পাশাপাশি, মূল ভূগর্ভস্থ নিকাশি পাইপলাইন না ঠিক হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতেই বানভাসি হচ্ছিল পুরসভার অন্তত ছ’টি ওয়ার্ড।

যে জায়গার এই ঘটনা, সেই এলাকাটি হাওড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে কদমতলা মোড়। ইছাপুর পাম্পিং স্টেশন থেকে নরসিংহ দত্ত রোড হয়ে আসা ১৪০০ মিলিমিটারের ওই নিকাশি পাইপলাইন এসে যোগ হওয়ার কথা ছিল বেলিলিলিয়াস রোডের দিক থেকে আসা পাইপলাইনের সঙ্গে। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া সেই কাজ থমকে গিয়েছিল কদমতলা মোড়ে এসে। বারবার ধস নামায় মাত্র ১৫ মিটার ব্যবধানের এই পাইপলাইন বসাতে ব্যর্থ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এইচআইটি)।

Advertisement

মাস পাঁচেক আগে সেই কাজের দায়িত্ব নিজেই নিয়ে নেন হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। পুরসভার পক্ষে দায়িত্ব দিয়েছিলেন হাওড়ারই একটি ঠিকাদার সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার সেই পাইপলাইন জোড়ার কাজ শেষ হল। এ দিন পাইপলাইনের গর্তে মাটি ফেলে তা বোজানোর কাজের সূচনা করেন মেয়র নিজেই। উপস্থিত ছিলেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ বিভাস হাজরা, ভাস্কর ভট্টাচার্য ও ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান গৌতম দত্ত।

কদমতলা মোড়ে দাঁড়িয়ে মেয়র বলেন, ‘‘এই নিকাশি পাইপলাইনের কাজ শেষ করা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। এই কাজ শেষ হওয়ায় পুরসভার ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল সহজে নেমে যাবে। লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি কমবে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির প্রায় ১৬ ফুট নীচে যে জায়গায় এই পাইপের সংযোগের কাজ হচ্ছিল, সেখান ভূগর্ভস্থ মাটি খুব আলগা থাকায় গর্তের দু’পাশে লোহার শিট দিয়ে আটকে পাইপ বসাতে হয়েছে। পাশাপাশি, যে জায়গায় এই কাজ হয়েছে, সেখানে সিইএসসি-র ইলেকট্রিক লাইন-সহ পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের পাইপলাইন ছিল। ফলে এই দু’টিকে সরিয়ে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement