আত্মঘাতী পরিবারের চার জনই

ঘরের চালের দু’টি বাঁশ থেকে গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল এক দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তানের দেহ। বৃহস্পতিবার হুগলির জনাইয়ের বাসিন্দা রবিন পণ্ডিত (৪৩), স্ত্রী কল্পনাদেবী (৩৭), মেয়ে সুস্মিতা (২১) ও ছেলে সুশোভনের (১৮) ঝুলন্ত দেহ দেখে চমকে গিয়েছিলেন পড়শিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চণ্ডীতল‌া শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শোকার্ত আত্মীয়-পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

ঘরের চালের দু’টি বাঁশ থেকে গলায় নাইলনের দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল এক দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তানের দেহ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হুগলির জনাইয়ের বাসিন্দা রবিন পণ্ডিত (৪৩), স্ত্রী কল্পনাদেবী (৩৭), মেয়ে সুস্মিতা (২১) ও ছেলে সুশোভনের (১৮) ঝুলন্ত দেহ দেখে চমকে গিয়েছিলেন পড়শিরা। পুলিশের অনুমান, চার জনেই আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সুস্মিতার সঙ্গে নিকটাত্মীয় এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা মেনে নেয়নি পরিবার। অসম্মানের ভয়ে তাঁরা আত্মঘাতী হন বলেই সন্দেহ। সূত্রের খবর, সুশোভনের বাঁ হাতে পেন দিয়ে লিখে ওই যুবককেই তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। তাঁকে জেরার জন্য আটক করা হয়েছে। রবিনবাবুর ভাই বাবলু পণ্ডিত বলেন, ‘‘ওই আত্মীয়ের জন্যই দাদা-বৌদিদের এই পরিণতি।’’

পুলিশ জানায়, রবিনবাবু রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সুস্মিতা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। সুশোভন পড়েছেন একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এ দিন সকালে পরিবারের কাউকে বেরোতে না-দেখে পড়শিদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া না-পেয়ে তাঁরা ওই বাড়ির ভেজানো দরজা ঠেলতেই টালির চালের বাঁশ থেকে চার জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সুস্মিতার সঙ্গে ওই নিকটাত্মীয়ের সম্পর্ক নিয়ে কিছু দিন ধরেই পরিবারে অশান্তি চলছিল। রবিনবাবু ইদানীং কাজেও যাচ্ছিলেন না। তবে, ওই দিন সকালে রবিনবাবু চণ্ডীতলারই বাকসা পঞ্চায়েতের খোঁড়াগড়ে ওই আত্মীয়ের বাড়িতে যান। দু’পক্ষের বচসাও হয়। ওই যুবকের মায়ের দাবি, ‘‘আমার ছেলে নির্দোষ। কেন ছেলের বিরুদ্ধে ওঁরা এমন কথা বলল, বুঝতে পারছি না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন