পরিদর্শন: বাগবাজার চৌমাথা সর্বজনীনের মণ্ডপে ভার্জিনি কর্টেভাল। ছবি: তাপস ঘোষ
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত ভার্জিনি কর্টেভাল এবং ডেপুটি কনসাল জেনারেল অলিভার কাসা। চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর শহরে বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শনও ঘুরে দেখলেন তাঁরা ।
শনিবার ভার্জিনি কর্টেভাল এবং অলিভার কাসা প্রথমে শ্রীরামপুরে আসেন। সেখান থেকে শ্রীরামপুর কলেজ, সেন্ট ওলাভ গির্জা ঘুরে দেখেন। শহরের ড্যানিশ ট্যাভার্নে তাঁরা মধ্যাহ্নভোজ সারেন। খাবারের তালিকায় ছিল ভাত, ডাল, বেগুনভাজা, ফিস ফ্রাই, চিকেন কারি, মটন কারি, ল্যাংচা, দই। বাঙালি খাবার যে ভালই মনে ধরেছে, কর্টেভাল তা জানাতে ভোলেননি।
শ্রীরামপুর থেকে বেরিয়ে তাঁরা চন্দননগর শহরের প্রবেশ পথ লিবার্টি গেট হয়ে ফরাসি মিউজিয়াম, ডুপ্লে কলেজ, গির্জা-সহ নানা স্থাপত্য ঘুরে দেখেন। ফরাসি গোরস্থান, জোড়াঘাটেও যান। বাগবাজার সর্বজনীন এবং বড়বাজার সর্বজনীনের মণ্ডপে ঠাকুর দেখেন।
শ্রীরামপুরে ড্যানিশ এবং চন্দননগরে ফরাসি আমলের বিভিন্ন স্থাপত্য এবং নিদর্শন দেখে তারিফ করেন কর্টেভাল। চন্দননগরে তিনি জানান, এই সব স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। গোটা বিষয়টি ফরাসি সরকারকে জানাবেন বলেও আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজো দেখলাম। ভাল লেগেছে।’’ গাড়িতে বসেই চন্দননগরের আলোকসজ্জা উপভোগ করেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখানকার আলো তো বিখ্যাত। আগে শুনেছি। এ বার দেখলাম।’’