দীর্ঘ দিন ধরেই বালি খালের উপরে হাওড়া ও হুগলির সংযোগকারী সেতু বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে ছিল। তৈরির পর থেকে কোনও দিনই তেমন ভাবে সংস্কার হয়নি বলেই অভিযোগ ছিল বাসিন্দাদের। মেরামতিতে কোনও হুঁশ ছিল না প্রশাসনেরও। শেষে সেচ দফতরের সহযোগিতায় সেই গাঁধী সেতু মেরামতি করে বুধবার জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হল।
রাজ্য সেচ দফতর সূত্রের খবর, জিটি রোড বাদ দিয়ে তড়িঘড়ি হাওড়া থেকে হুগলি যেতে একমাত্র ভরসা রঘুনাথপুরের এই সেতু। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় কংক্রিট ভেঙে বেরিয়েছিল লোহার রড। রেলিং ভেঙে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভাঙা রাস্তায় যেতে গিয়ে কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটে। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানালে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই সেতুর সংস্কার করা হয়। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, নতুন ভাবে সেতু তৈরি করার সময়ে আগের থেকে আরও চওড়া করা হয়েছে, যাতে পথচারী ও যানবাহন ভালভাবে যাতায়াত করতে পারে। সংস্কারের পরে সেতুটি ১৮ মিটার চওড়া এবং ফুটপাথ সহ ৬ মিটার চওড়া করা হয়েছে।
এ দিন বিকেলে বালির রঘুনাথপুরে ওই সেতুর উদ্ধোধন করে সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু বালি নয়। রাজ্যের অন্যান্য নদী ও খালের উপরেও নতুন সেতু তৈরি করা হচ্ছে। কাঠ কিংবা বাঁশের সেতুও বদলে স্থায়ী সেতু বানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১০৫টি সেতু তৈরি করা হয়েছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৭৫ সালে দুই জেলার সংযোগ রক্ষার জন্য এই সেতু তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এর পরে আর কোনও সংস্কার হয়নি। এ সেতুর ফলে হাওড়া ও হুগলি জেলার রঘুনাথপুর, দুর্গাপুর, অভয়নগর, বেলানগর, উত্তরপাড়া, মাখলা, ডানকুনির বাসিন্দারা উপকৃত হবেন হলেও স্থানীয় সূত্রের খবর। এ দিন মন্ত্রী বালি খাল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, বালি খাল ছাড়াও শ্রীরামপুর খাল, শেঁওড়াপোতা খাল, সুতি খাল সংস্কার শুরু হয়েছে।