বৃদ্ধাকে মার, কার্ড হাতিয়ে টাকা লোপাট

ভিড়ে ঠাসা কোন্নগরের শকুনতলা কালীবাড়ির সামনে এক বৃদ্ধাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করছিল কিছু মহিলা। সেই সুযোগে বৃদ্ধার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে নগদ টাকা এবং এটিএম কার্ড হাতিয়ে পরে তা থেকে ৬০ হাজার টাকা তুলে নিল দুষ্কৃতীরা। শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর পুত্রবধূও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

ভিড়ে ঠাসা কোন্নগরের শকুনতলা কালীবাড়ির সামনে এক বৃদ্ধাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করছিল কিছু মহিলা। সেই সুযোগে বৃদ্ধার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে নগদ টাকা এবং এটিএম কার্ড হাতিয়ে পরে তা থেকে ৬০ হাজার টাকা তুলে নিল দুষ্কৃতীরা। শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন তাঁর পুত্রবধূও।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পরে পুলিশ তল্লাশি শুরু করলেও সোমবার রাত পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি। ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও ভিড়ে ঠাসা এলাকায় কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানান, ওঁদের গাড়ি নিয়ে মন্দির পর্যন্ত যেতে পুলিশ নিষেধ করেছিল। কিন্তু ওঁরা শোনেননি। সম্ভবত ভিড়ের মধ্যে গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় বিরক্তিতে কিছু মহিলা-পুরুষ ওই কাণ্ড ঘটায়। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘ওই এলাকার কিছু দোকানে সিসিটিভি আছে। ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার জয়কৃষ্ণ স্ট্রিটের বাসিন্দা মিঠুরা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বৃদ্ধা পুত্রবধূ ইন্দ্রাণীকে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় শকুনতলা কালীমন্দিরে পুজো দেওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। জিটি রোড থেকে সাধুর ঘাট হয়ে তাঁদের গাড়িটি মন্দিরের পথ ধরে। শনিবার রাতে ওই মন্দিরে পুজো হয়ে গিয়েছে। পুজো উপলক্ষে সেখানে মেলা হয়। রবিবার রাতেও যথেষ্ট ভিড় ছিল। মন্দিরের কাছে গাড়িটি যেতেই ওই কাণ্ড। স্থানীয় লোকজন ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর পুত্রবধূকে উদ্ধার করেন।

Advertisement

মিঠুরাদেবী বলেন, ‘‘আমাদের দোষ ছিল না। তা সত্ত্বেও হঠাৎ কিছু মহিলা রাস্তা আটকায়। গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে আমায় কিল-চড় মারতে থাকে। আমি পড়ে যাই। আমায় বাঁচাতে এলে বৌমাকেও ওরা চড় মারে। সেই সময় ভিড়ে মিশে থাকা কিছু যুবক ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পুজো দেওয়ার ১০ হাজার টাকা খোওয়া যায়। এটিএম কার্ডও নিয়ে নেয়।’’

লিখিত অভিযোগ পেয়ে রাতেই উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বৃদ্ধার ছেলে প্রিয়নাথবাবু সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে মায়ের এটিএম কার্ডটি ‘ব্লক’ করান। তিনি বলেন, ‘‘মায়ের ব্যাগে একাধিক কার্ড ছিল। কার্ডের পিন নম্বর ভুলে যান বলে খামেই তা লিখে রেখেছিলেন। সেই সুযোগই নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ৬০ হাজার টাকা ওরা তুলে নিয়েছে। কাছেই পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কী করে এই ঘটনা ঘটল?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন