এগারো দিন পরেই ছিল জন্মদিন। সে দিন কী খাওয়া হবে, কোথায় যাবে— তা নিয়ে প্রতি রাতেই ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করত দিদি। কিন্তু, সোমবার রাতে বেশ চুপচাপ ছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠে ভাই দেখল, বিছানার পাশে গ্রিলের জানলা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে দিদির দেহ!
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর নাম বর্ষা মণ্ডল (১৬)। বাড়ি লিলুয়ার আহমেদ মামুজি স্ট্রিটে। তদন্তকারীরা জানান, বেলুড় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণীর ঘর থেকে সুইসাইড নোট মেলেনি। এলাকারই একটি কারখানায় কাজ করেন বর্ষার বাবা ভাস্করবাবু। কারখানার তিনতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন তিনি।
ভাস্করবাবুর স্ত্রী পম্পা জানান, এ দিন ছেলে বিকাশের চিৎকার শুনে তাঁরা ঘরে ঢুকে বর্ষাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পম্পা বলেন, ‘‘সোমবার পরীক্ষা দিয়ে মেয়ে বাড়ি এল। রাতে ওর পছন্দের রান্না করে চার জন খাওয়াদাওয়া করলাম। তার পরে কী যে হল!’’ অন্য দিন ঘুমোনোর আগে ভাইয়ের সঙ্গে জন্মদিনের গল্প করত বর্ষা। কিন্তু সোমবার খাওয়াদাওয়া সেরেই সে ঘুমিয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে বিকাশ।
ভাস্করবাবু জানান, কয়েক মাস আগে বর্ষা জানিয়েছিল বেগমপুরের এক যুবকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়েছে। দু’জনে বিয়ে করতে চায়। এ দিন বেলুড় থানায় এসে ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘বেগমপুরের এক যুবকে বিয়ে করতে চায় বলে কয়েক মাস আগে মেয়ে জানিয়েছিল। সম্পর্ক মেনে নিলেও বলেছিলাম, ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেব না। কিন্তু মেয়ে মাঝেমধ্যে বায়না করত বিয়ে দেওয়ার জন্য।’’ যদিও কারও নামেই অভিযোগ
করেননি ভাস্করবাবু।