মাদ্রাসা ভোটে তৃণমূলের গোষ্ঠী-লড়াই

বিরোধী নেই। যুযুধান দুই গোষ্ঠীই শাসকদলের। শেষ পর্যন্ত দলের ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর কাছে হারতে হল এলাকার অপর দাপুটে নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের দাঁড় করানো প্রার্থীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:১৩
Share:

বিরোধী নেই। যুযুধান দুই গোষ্ঠীই শাসকদলের। শেষ পর্যন্ত দলের ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর কাছে হারতে হল এলাকার অপর দাপুটে নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষের দাঁড় করানো প্রার্থীদের।

Advertisement

উপলক্ষ্য— চণ্ডীতলা ১ ব্লকের নবাবপুর হাই মাদ্রাসা উচ্চ মাধ্যমিকের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন। রবিবার এই ভোটকে ঘিরে মাদ্রাসা চত্বরে টানটান উত্তেজনা ছিল। দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। বড় গোলমালের আশঙ্কায় স্থানীয় সিআই অসিতবরণ কুইল্যার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র‌্যাফ মোতায়েন করা হয়। এ ভাবে একটি মাদ্রাসার ভোটে দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘মাদ্রাসা বা স্কুলের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয় না। তৃণমূল মনোভাবাপন্ন লোকজনের উপরেই মানুষ ভরসা রেখেছেন। এর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খোঁজা অর্থহীন।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই মাদ্রাসায় ভোটার সংখ্যা ১২০৭ জন। এ দিন ভোট দেন ৬৫৯ জন। ভোলানাথবাবুর প্যানেলের প্রার্থীরা ৬টি আসনের প্রত্যেকটিতেই জিতে গিয়েছেন।

Advertisement

আসফার বলেন, ‘‘আমি আদি তৃণমূল। লোকসভা ভোটে যাঁরা কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছিলেন, ব্লক সভাপতি তাঁদের নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছেন।’’ স্বভাবতই আসফারের অভিযোগ উড়িয়ে ভোলানাথবাবুর পাল্টা তোপ, ‘‘উনি (আসফার) কারও কথা মানেন না। তৃণমূলের আসল প্যানেলই জিতেছে। হঠকারীদের সমুচিত জবাব মানুষই দিয়েছেন।’’ তৃণমূল শিবিরের খবর, কখনও দলের নবাবপুর অঞ্চল সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে, আবার কখনও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। এ দিনের ঘটনা ওই দ্বন্দ্বে নতুন সংযোজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement