Chandannagar

ফুটপাত থেকে হাসপাতালে ঠাঁই গুজরাতি বৃদ্ধার

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

এ ভাবেই রাস্তায় বসে ছিলেন বৃদ্ধা। —িনজস্ব িচত্র

ফুটপাতে, খোলা আকাশের নীচে ক’দিন ধরে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভিন্‌ রাজ্যের এক বৃদ্ধা। চন্দননগরের বারাসত এলাকার বাসিন্দারা বুঝে পাচ্ছিলেন না কী করবেন! তাঁরা তাঁকে খেতে দিয়েছেন। গরম জামা-কাপড়ও দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালে বা অন্যত্র নিয়ে যেতে পারেননি। তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না তাঁর ভাষাও। শেষমেশ দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁদের তৎপরতাতেই অবশেষে শনিবার বৃদ্ধার ঠাঁই হল চন্দননগর হাসপাতালে। গুজরাতি ওই মহিলার আত্মীয়দের খোঁজ সম্ভবত মিলতে চলেছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি।

Advertisement

চন্দননগরের মহকুমাশাসক মৌমিতা সাহা বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের গোচরে আসতে বৃ্দ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পরিবারের লোকজন বলে গুজরাত থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে। তাঁরা পৌঁছলে সব দিক খতিয়ে দেখে বৃদ্ধাকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’ বারাসতের বাসিন্দা শৈবাল মোদক বলেন, ‘‘এলাকার লোকজন যথাসাধ্য করেছেন। কিন্তু ফুটপাত থেকে নড়ানো যাচ্ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক উপকার হল।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ক’দিনে ওই বৃদ্ধা অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু তাঁরা গুজরাতি না জানায় কিছুই বুঝতে পারেননি। শেষে তাঁরা নিজেদের কয়েকজনের ফোন নম্বর এবং বৃদ্ধার ছবি দিয়ে বিষয়টি ফেসবুকে তুলে দেন। তা দেখে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই সংস্থার প্রতিনিধিরাও বারাসতে আসেন। প্রথমে তাঁরাও বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সমস্যার সমাধান হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালানো শুরু করে। এরপরই গুজরাত থেকে একটি পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

Advertisement

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির কর্তা অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে পরিবারটি যোগাযোগ করেছে, আমরা তাদের কথা জেলা প্রশাসনকে এবং পুলিশকে জানিয়েছি। বৃদ্ধার আসল পরিচয় কী, কেন তিনি চলে এসেছেন তা ওই পরিবারের লোকজন না এলে স্পষ্ট হবে না। ওঁরা গুজরাত থেকে রওনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন